এসি, ফ্রিজসহ বাড়ছে যেসব ইলেকট্রনিক পণ্যের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২৫, ১১:১৪ PM

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ফ্রিজ, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ব্লেন্ডার, রাইস কুকারসহ বিভিন্ন গৃহস্থালি ইলেকট্রনিক পণ্যের ওপর অতিরিক্ত সুরক্ষা সুবিধা কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব পণ্যে ধাপে ধাপে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে, যার ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যেতে পারে।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বিটিভিতে বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন,আগামী পাঁচ বছরে তিন ধাপে ভ্যাট আরোপের পরিকল্পনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক কেটলি, আয়রনসহ অন্যান্য ছোট ইলেকট্রনিক্স পণ্যের স্থানীয় উৎপাদনে ৫ শতাংশ ভ্যাট বসবে। ২০২৭ সাল থেকে তা হবে সাড়ে ৭ শতাংশ এবং ২০৩০ সাল থেকে তা বাড়বে ১০ শতাংশে। তবে একটি স্বস্তির দিক হচ্ছে— এসব পণ্যের উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে আগাম করসহ ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি বহাল থাকবে।

এ দিকে ফ্রিজ, ফ্রিজার, এসি ও কম্প্রেসরের উৎপাদন পর্যায়ে এতদিন যেসব প্রতিষ্ঠান ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা পেয়ে আসছিল, সেই সুযোগও বন্ধ হতে যাচ্ছে। 

২০১৯ সালের একটি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এসব পণ্যের উৎপাদনে ব্যাপক ছাড় ছিল। এবার বাজেটে সে সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের উৎপাদনেও খরচ বাড়বে এবং সেটির পরিণতিতে বাজারে দামও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আয়ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাজেটের আকার হ্রাস পাওয়ার ঘটনা। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বিষয়ে সাধারণ জনগণের মতামত নেবে এবং সেগুলো বিবেচনায় রেখে বাজেট চূড়ান্ত করা হবে।