সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা; যা বলছে ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্টস জার্নাল স্পোর্টস জার্নাল
প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৪৭ AM

বিগত সরকারের সময় এমপি নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নামের পাশে যুক্ত হয়েছে হত্যা মামলার দায়। দেশের মাটিতে ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নিহত গার্মেন্টসকর্মী রুবেলের হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। সেই চাপ মাথায় নিয়েই সাকিব খেলেছেন রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট। আর ৫ম দিনে এসে দেখালেন নিজের স্পিনের জাদু। 

প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান সৌদ শাকিল আর পরে সেট হয়ে যাওয়া আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট নিয়েছেন। হয়েছেন বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। নাসিম শাহের উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেছেন ৩ উইকেটের চক্র। ম্যাচ জয়ের পর থেকেই সতীর্থরা সাকিবকে সাহস দিয়েছেন। মুমিনুল হক থেকে শুরু করে জাতীয় দলের সব সতীর্থকেই দুঃসময়ে পাশে পাচ্ছেন সাকিব। 

শেষ পর্যন্ত এই অলরাউন্ডারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের সংগঠন ‘ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’। লম্বা এক বিবৃতিতে কোয়াবের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, সাকিবকে যেন শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে মামলার আসামি করা না হয়। 

সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে কোয়াব লিখেছে, ‘সম্প্রতি দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে আসামি করা হয়েছে মর্মে জানতে পেরেছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- কোয়াব। সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের কল্যাণে গঠিত সংগঠন কোয়াব সাকিব আল হাসানের প্রতি খেলোয়াড় বিবেচনায় সহানুভূতি প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।’ 

দেশের ক্রিকেটে সাকিবের গুরুত্ব তুলে ধরে কোয়াব জানিয়েছে, ‘সাকিব আল হাসানের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকতে পারে। কারোর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের প্রেক্ষিতে দায়েরকৃত কোনো মামলার বিষয়ে কোয়াবের বক্তব্য নেই। কোয়াব মনে করে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে সাকিব আল হাসানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।’ 

এরপরেই উল্লেখ করা হয়, সদ্য শেষ হওয়া রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয়েও সাকিব আল হাসানের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলকে অনেক কিছু দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে সাকিবের।

এসব দিক বিবেচনায় সাকিব আল হাসান যাতে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে মামলার আসামি না হন সে অনুরোধ রাখছে কোয়াব। নতুবা মামলা সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা এবং জটিলতা সাকিবের ক্রিকেট পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এমন প্রতিভা ঝড়ে যাওয়ার মতো অবস্থাও সৃষ্টি হতে পারে। এতে দেশের ক্রিকেটেরও অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কোয়াবের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, সাকিবের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সহানুভূতির সাথে দেখবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাকিবের খেলোয়াড় সত্তা আলাদাভাবে বিবেচনার অনুরোধ জানিয়ে তার প্রতি সর্বোচ্চ সহানুভূতি কামনা করা হয়েছে।