এশিয়া কাপ
১১৪ রানের বিশাল জয়ে সেমির পথে বাংলাদেশের মেয়েরা
নারী এশিয়া কাপে বড় জয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ। জিতলে সেমিফাইনালে এক পা, হারলে কার্যত বিদায়–এমন সমীকরণ নিয়ে মালয়েশিয়ার মেয়েদের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। মুর্শিদা-নিগারদের ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রায় দুইশোর কাছাকাছি পুঁজি গড়ার পর বল হাতেও আগুন ঝরালেন টাইগ্রেস বোলাররা। আর তাতে ১১৪ রানের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ।
আজ বুধবার (২৪ জুলাই) শ্রীলঙ্কার ডাম্বুল স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৯১ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ৮০ রান করেন মুর্শিদা। এ ছাড়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ বলে ৬২ রান। এদিন টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এশিয়া কাপেও টাইগ্রেসদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের নজির এটি।
জবাবে বড় রান তাড়া করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেনি মালয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস। সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেছেন নাহিদা আক্তার।
চলমান এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে খানিকটা হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। থাইল্যান্ডকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারায় টাইগ্রেসরা। সর্বশেষ আজ মালয়েশিয়ার বিপক্ষে বড় জয়ে সেমিতে কার্যত এক পা দিয়ে রাখল লাল-সবুজের দল।
বি গ্রুপের সর্বশেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে থাইল্যান্ড বড় ব্যবধানে না জিতলেই শেষ চার নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। এরই মধ্যে দুই জয় আর ভালো রান রেটে (৪.২৪৩) শ্রীলঙ্কার সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত। অন্যদিকে, দুই ম্যাচে এক জয় থাই মেয়েদের। তাদের রেটিং পয়েন্ট ০.০৯৮। পাশাপাশি টেবিলের দুইয়ে থাকা বাংলাদেশের নেট রানরেট ১.৯৭১।
এর আগে আজ ডাম্বুলায় টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার দিলারা ও মুর্শিদা। মাত্র ৭.৪ ওভারেই বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে ৬৫ রান জমা হয়। ২০ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন দিলারা। দ্বিতীয় উইকেটে মুর্শিদার সঙ্গে জুটি গড়ে ঝড় তোলেন জ্যোতি। ১৭তম ওভারের শেষ বলে মুর্শিদার বিদায়ের আগে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৫৪ রান। মাত্র ৫৯ বলে ১০ চার ও ১ ছয়ে ৮০ রান করেন মুরশিদা।
এদিন অর্ধশতকের দেখা পান অধিনায়ক জ্যোতিও। শেষের দিকে রীতিমতো ব্যাটে সাইক্লোন তোলেন তিনি। মাত্র ৩৭ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।