প্রথম টি-২০ তে নিউজিল্যান্ডকে ১৩৪ রানে আটকালো বাংলাদেশ
বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশ। শুরুতেই আঘাত হানলেন শেখ মেহেদী। এরপর বিধ্বংসী রূপ নিলেন শরিফুল ইসলাম। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট পেলেন রিশাদ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানরা। বাংলাদেশের সম্মিলিত বোলিং আক্রমণে জিমি নিশাম ছাড়া নিউজিল্যান্ডের আর কেউ ডানা মেলে উড়তে পারলেন না।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে আগে বোলিং নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে ১৩৪ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশ।
দলের হয়ে সেরা বোলিং করেন শরিফুল। ৪ ওভারের স্পেলে ২৬ রানে পান ৩ উইকেট। শেখ মেহেদী ৪ ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। মোস্তাফিজও পেয়েছেন ২ উইকেট। তার চার ওভার থেকেও ১৫ রানের বেশি নিতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে স্বাগতিক ইনিংসে স্বস্তি দেন কেবল নিশাম। ২৯ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
শুরুতেই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। শেখ মেহেদী ইনিংসের চতুর্থ বলেই বোল্ড করে দেন টিম সেইফার্টকে। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে আরেক সাফল্য। শরিফুল ইসলামের বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা দেন বিপদজনক ফিন অ্যালেন।
পরের বলটি ভেতরে ঢোকান শরিফুল। ক্রিজে এসে গ্লেন ফিলিপস বুঝতেই পারেননি। মাঠের আম্পায়ার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় বাংলাদেশ। ১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।
দলের প্রবল চাপে জ্বলে উঠতে চাইছিলেন ড্যারেল মিচেল। পাল্টা আক্রমণ চালানোর মুডে ছিলেন তিনি। তবে দুই বাউন্ডারি পেলেও তাকে চেপে রাখে বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে ফিরে তাকে বোল্ড করে চতুর্থ উইকেট ফেলে দেন শেখ মেহেদী। ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত অবস্থায় চলে যায় কিউইরা।
তানজিম সাকিবের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দুই চার, তিন ছক্কায় ১৪ রান নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড। তাতেও ৬ ওভারের পাওয়ার প্লে শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর ৪ উইকেটে ৩৬।
মার্ক চাপম্যান-জিমি নিশাম জুটি গড়ে দলকে জুতসই পুঁজি আনতে চেয়েছিলেন। কিছু রান বের করলেও খুব আগ্রাসী হতে পারছিলেন না তারা।
২৮ বলে দুজনের ৩০ রানের জুটি ভাঙেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। দশম ওভারে বল করতে এসে দ্বিতীয় বলেই সাফল্য পান তিনি। রিশাদকে কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন ১৯ বলে ১৯ করা চাপম্যান।
অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার নেমে দারুণ সঙ্গ দিতে থাকেন নিশামকে। ৬ষ্ঠ উইকেটে জমে উঠে জুটি। এই জুটি বিপদজনক জায়গায় যেতেই ফের শরিফুলের আঘাত।
৩১ বলে ৪১ রানের জুটি থামাতে সৌম্যের অবদানও অনেক। দারুণ এক নিচু ক্যাচ হাতে জমান তিনি। থেমে যায় ২২ বলে স্যান্টনারের ২৩ রানের ইনিংস। স্যান্টনার ফিরলেও নিশাম তুলছিলেন ঝড়। দলকে জুতসই পুঁজির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। মোস্তাফিজকে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কায় উড়িয়ে ফিফটির কাছে যাওয়ার পরের বলে ফুলটসে কাবু তিনি। মোস্তাফিজের নিচু ফুলটস তুলে মারতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে দেন ক্যাচ। ২৯ বলে ৪ চার, ৩ ছক্কায় ৪৮ করে তিনি বিদায় নিতেই আর চ্যালেঞ্জিং পুঁজির আশা মিইয়ে যায় স্বাগতিকদের। শেষ দিকে অ্যাডাম মিলনে ১২ বলে ১৬ করে কিছু রান যোগ করেন।