৮ রানের লিড নিয়ে অল-আউট নিউজিল্যান্ড
প্রথম দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় কিউই টপ অর্ডার। দলীয় ৫০ রানের আগেই সাজঘরে ফেরেন ৫ ব্যাটার। এরপর দ্বিতীয় দিন বৃষ্টিতে ভেসে যায়। প্রাকৃতিক এই প্রতিবন্ধকতা শেষে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় খেলা শুরু হয়।
মাঠে নেমেই আক্রমণাত্মক শুরু করেন দুই অপরাজিত ব্যাটার। বিশেষ করে গ্লেন ফিলিপস এদিন দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তার ৮৭ রানের ইনিংসে ভর করে প্রথম ইনিংসে ৮ রানের লিড পেয়েছে কিউইরা।
এদিন ব্যাট হাতে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। তবে এই জুটিকে বেশি দূর এগিয়ে যেতে দেননি অফস্পিনার নাঈম হাসান। ৬০ বলে তাদের ৪৯ রানের এই জুটি ভাঙেন তিনি।
ইনিংসের ২১তম ওভারে নাঈমের ডেলিভারি লং-অন দিয়ে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন মিচেল। তবে মিড-অফ থেকে দৌড়ে এসে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নিয়ে ১৮ রানেই তার প্রথম ইনিংস অধ্যায়ের ইতি টানেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর ব্যাক টু ব্যাক বল করতে এসে মিচেল স্যান্টনারকে ফেরান নাঈম। প্রথম স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেন হাতে ক্যাচ দিয়ে ৭ বলে ১ রানে ফেরেন এই কিউই ব্যাটার।
একপ্রান্তে ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে দ্রুত দলের রান বাড়িয়েছেন ফিলিপস। কাইল জেমিসনকে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন এই ব্যাটার।
স্কোরবোর্ডে দ্রুত ৫৫ রান যোগ করেন ফিলিপস। জেমিসন আউট হওয়ার পর টিম সাউদির সঙ্গেও ২৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। এতে টাইগারদের ১৭২ রান টপকে সহজেই লিড পায় সফরকারীরা।
তবে লিড দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ফিলিপস। ৭২ বলে ৮৭ রানে শরীফুল ইসলামের বলে উইকেটরক্ষক সোহানের গ্লাভসবন্দী হন তিনি। এতে ৮ রানে এগিয়ে থেকে ১৮০ রানেই অলআউট হয় কিউইরা।
এর আগে প্রথম দিন, টস জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৭২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে খেলতে নেমে বাংলাদেশের ঘূর্ণিতে ৫ উইকেট ৫৫ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের চেয়ে ১১৭ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিন শুরু করে সফরকারীরা।