দীর্ঘদিনের রানের খরা কাটিয়ে সৌমের ঝড়োয়া ইনিংস
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচ। নেলসনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ২৯২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে পুরো বাংলাদেশের প্রায় বেশিরভাগ মানুষ যখন ভোরের ঘুমে আচ্ছন্ন, তখনই তাসমান সাগরপাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ডে কিছুটা ঝড়ই তুলেছেন সৌম্য সরকার। তার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২য় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছে লড়াকু এক পুঁজি। এদিন কেবল ৫ বছরের সেঞ্চুরি খরাই মেটাননি সৌম্য, রীতিমত রেকর্ডবুক তোলপাড় করেছেন তিনি।
বুধবারের নেলসনের ম্যাচে সৌম্য নিজের ইনিংস শেষ করেছেন ১৬৯ রানে। ১৫১ বলে ২২ চার ও দুই ছক্কায় ম্যারাথন এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। তার সামনে ছিলেন কেবল লিটন দাস। ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
তালিকার দুইয়ে উঠে আসার সময় সৌম্য পেছনে ফেলেছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের দুই রেকর্ড। সেই একই সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল করেছিলেন ১৫৮ রান। যা বাংলাদেশের সেই সময়ের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল। এই রেকর্ডের পথে তামিম ভেঙেছেন নিজের রেকর্ডই। সেটাও অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই।
২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের মাটিতে ৩১৩ রান তাড়া করতে নেমে ১৫৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। সেটিই ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম ড্যাডি সেঞ্চুরি বা দেড়শ রানের ইনিংস। ২০১৮ সালেই অবশ্য দুইবার দেড়শ রানের ইনিংস পেতে পারত বাংলাদেশ। ইমরুল কায়েস এবং মুশফিকুর রহিমের সামনে ছিল সেই সুযোগ।
তবে দুজনেই থেমেছিলেন ১৪৪ রান করে। ইমরুলের প্রতিপক্ষ ছিল সেই জিম্বাবুয়ে আর মুশফিকের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা।
এদিকে ব্যাটিং সহায়ক পিচে রান তাড়ায় বেশ ভালো অবস্থানে আছে কিউইরা।
১৬ ওভারে ১ উইকেটেই ৯৯ রান তুলে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৭৬ রানে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে ফেরেন রাচিন রাবিন্দ্র (৪৫)। তবে হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় আরেক ওপেনার উইল ইয়ং অপরাজিত ৪৯ রানে। ৩৪ ওভারে আর ১৯৩ রান করতে হবে স্বাগতিকদের।