৩০১ রানের লিড নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ২০৫ রানের লিড নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামে আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ৯৬ রান করতে চার উইকেট হারায় টাইগাররা। তারপরও লাঞ্চে যাওয়ার আগে ৩০১ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ৩২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্ন-বিরতি পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩০৮ রান করেছে। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৩১০ রানের জবাবে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৩১৭।
তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ২১২ রান করেছিল লাল-সবুজেরা। এদিন ৭ উইকেট হাতে রেখে ২০৫ রানে এগিয়ে ছিল টাইগাররা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১০৪ ও মুশফিকুর রহিম ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদির বলে ব্যক্তিগত ১০৫ রানে আউট হন শান্ত। ১৯৮ বল মোকাবিলায় ১০ বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭ চারে ৬৭ রানে থামেন মুশফিকও।
এ ছাড়া অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা শাহাদাত হোসেন ১৮ ও উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ১০ রানে আউট হন। নিউজিল্যান্ডের অ্যাজাজ প্যাটেল ১৩৭ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে, প্রথম ইনিংসে টাইগারদের তিন শ’ ছাড়ানো পুঁজি এনে দিতে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন জয়। এ ছাড়া ৩৭ করে রান যোগ করেন শান্ত ও মুমিনুল। শাহাদাত ২৪, মিরাজ ২০ ও সোহান খেলেন ২৯ রানের ইনিংস।
কিউইদের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। মিডল-অর্ডারে ড্যারেল মিচেল ৪১ ও ফিলিপস ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া জেমিনসন ও সাউদির ব্যাট থেকে আসে ২৩ ও ৩৫ রানের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ব্ল্যাক-ক্যাপসদের খণ্ডকালীন অফ-স্পিনার ফিলিপস তুলে নেন ৪ উইকেট। জেমিনসন ও অ্যাজাজ প্যাটেল দুটি করে উইকেট নেন। অন্যদিকে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়া গোল্ডেন হ্যান্ড বনে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট মুমিনুল হক। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম-মেহেদি হাসান মিরাজ ও নাইম হাসান।