সীমান্ত শান্ত থাকলেও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা; কড়া নজরদারি
কয়েক সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও মংডু ও রাখাইন রাজ্যের আরাকান আর্মি দখল নেওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে বাংলাদেশে আসার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত এক বছরে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে, এমন তথ্য জানিয়েছে সরকার।
গত ডিসেম্বরের প্রথমদিকে মংডু শহর দখল হওয়ার পর আরও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ৩৬ জন রোহিঙ্গা শিশু সহ বাংলাদেশে ঢুকলেও সন্ধ্যার দিকে তাদের ফের মিয়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং বিজিবি নজরদারি ও টহল বাড়িয়েছে যেন কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটতে না পারে।
সীমান্তের ওপারে মাঝে মাঝে আগুনের কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে, যা রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়িয়ে দেওয়ার এবং ঝোপঝাড় পরিষ্কারের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে।
সীমান্তবর্তী এলাকার দায়িত্বশীলরা জানান, বর্তমানে যুদ্ধের পরিস্থিতি নেই, তবে আরাকান আর্মি ও আরএসওর মধ্যে আধিপত্য নিয়ে কিছু গোলাগুলি চলছে।
রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে কোনো সহায়তা না থাকায় রোহিঙ্গারা সেখান থেকে পালিয়ে আসছে।