সপ্তাহে ৪ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ PM

দেশের বিভিন্ন স্থানে বইতে শুরু করেছে শীতের আমেজ। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান উঠানামায় বিঘ্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে ইতোমধ্যেই। এবার শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকায় বিমান অবতরণে সমস্যা হলে বিকল্প হিসেবে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ করতে পারবে। সে জন্য চার দিন ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।

আজ রবিবার (১৭ নভেম্বর) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, অতীতে শীতকালীন ঘনকুয়াশার কারণে বিমান ঢাকায় অবতরণ করতে না পারলে তা অন্য দেশের বিমানবন্দরে নিয়ে যেতে হতো। তবে এবার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সপ্তাহে চার দিন ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। বাকি তিন দিন সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর একইভাবে চালু থাকবে। ফলে বিকল্প হিসেবে এই দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট ল্যান্ডিং করানো যাবে।

এ সময় বেবিচক চেয়ারম্যান যাত্রী প্রান্তিক ভবন, যাত্রী লাউঞ্জ, রানওয়ে, অ্যাপ্রোন, নতুন বোর্ডিং ব্রিজ, শিশু পার্ক, ড্রাইভওয়েসহ অন্য চলমান প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন।

তিনি প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এসব কাজ দ্রুত শেষ হলে যাত্রীদের সেবার মান উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরও বলেন, বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন এবং উন্নয়ন কার্যক্রম যাত্রীসেবা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এসব কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশনা দেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেবিচকের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা), সদস্য (অর্থ) এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ সব স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

এ ছাড়া আজ সকালে বেবিচকের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘অরবিস ফ্লাইং আই হসপিটাল’ এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

উল্লেখ্য, চক্ষু চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দিতে বাংলাদেশে ১১তম বারের মতো বাংলাদেশে অবতরণ করল এই উড়ন্ত হাসপাতাল।