অবশেষে কুতুবদিয়ায় নোঙর করলো জিম্মি হওয়া সেই জাহাজ
জিম্মি দশা ও মুক্তি মিলিয়ে প্রায় ৬৪ দিন পর ২৩ নাবিক নিয়ে কুতুবদিয়ায় নোঙর করলো এমভি আবদুল্লাহ। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কুতুবদিয়ায় নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরের পর চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়বেন নাবিকরা। এরই মধ্যে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিতে ২৩ জন নাবিকের একটি টিম চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছেন। সোমবার বিকেলে নাবিকদের নিয়ে নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটি ছেড়েছে লাইটার জাহাজ এমভি জাহান মনি-৩। ওই জাহাজে করেই মঙ্গলবার সকালে এমভি আবদুল্লাহতে থাকা ২৩ নাবিক কুতুবদিয়া থেকে রওনা দেবেন।
মঙ্গলবার দুপুরের পর সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ছাড়া পাওয়া নাবিকদের নগরের সদরঘাট কেএসআরএম জেটিতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে মালিকপক্ষ এবং নাবিকদের স্বজনরা তাদের বরণ করে নেবেন।
যোগাযোগ করা হলে কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম জানান, এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় পৌঁছেছে। এখন নোঙর করবে। কুতুবদিয়ায় কিছু মালামাল খালাস শেষে ১৫ মে (বুধবার) এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস হবে।
এর আগে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাতের আল–হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটিকে সোমালিয়া উপকূলে নিজেদের ডেরায় নিয়ে যায়। ৩১ দিনের জিম্মি জীবন পার করার পর ১৩ এপ্রিল ছাড়া পান ওই ২৩ নাবিক।
মুক্ত হওয়ার পর পরই ১ হাজার ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে থাকা আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এমভি আবদুল্লাহ। কড়া নিরাপত্তা দিয়ে জাহাজটিকে ঝুকিপূর্ণ জলসীমা পার করে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি টহল জাহাজ।
২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছায়। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি মিনা সাকার বন্দরে নোঙর করে এরপর। সেখান থেকে কার্গো লোড করে অবশেষে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি।