৬ ঘণ্টা পর মহাখালীর অবরোধ তুলে নিল রিকশাচালকরা, যান চলাচল শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ PM

দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টা পর মহাখালীর অবরোধ তুলে নিয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। তাদের অবরোধে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ থাকার পর মহাখালী যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বন্ধ ট্রেন হয়ে যায় চলাচলও। আর এতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যান চলাচল স্বাভাবিক না হওয়ায় বনানী, তেজগাঁও, ফার্মগেট থেকে হেঁটে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে দেখা যায় মানুষকে। সকাল থেকে দফায় দফায় সেনাবাহিনী, পুলিশ কর্মকর্তাদের অনুরোধ সত্বেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন অটোরিকশা চালকরা।
 
তাদের দাবি, প্রধান সড়ক না অন্তত অলিগলিতে চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক। বন্ধ করে দিলে ঋণের টাকা দিতে পারবেন না, পরিবার নিয়ে পথে দাঁড়াতে হবে।  

দুপুর বারটার দিকে সেনাবাহিনীর অনুরোধে আন্দোলনকারী চালকদেন একপক্ষ রেলগেট ছেড়ে দেয়, অন্য পক্ষ না মেনে আবারও অবরোধ করলে লাঠিচার্জ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত হন দুই অটোচালক। 

১২ টার কিছু পরে আবারও রাস্তার অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে সেনাবাহিনী। তবে, ঘণ্টা খানিকের আলোচনাও ভেস্তে যায় কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই। 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, হাইকোর্ট থেকে অটোরিকশা বন্ধের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা তাঁরা মানেন না। এই নির্দেশ প্রত্যাহার চান তাঁরা। যতক্ষণ পর্যন্ত অটোরিকশা চালানোর অনুমতি না দেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। 

এর আগে গত মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুলও জারি করেন আদালত। 

হাইকোর্টের আদেশের পরদিন গতকাল বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করেন ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা। আগারগাঁও, মিরপুর, দয়াগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় এ বিক্ষোভে সড়কে যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভ তুলে নেন তারা।

সিটি কর্পোরেশন থেকে প্যাডেলচালিত রিকশার লাইসেন্স নেওয়ার বিধান থাকলেও ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স পেতে রিট করা করা হলে হাইকোর্ট ওই দুই রিটই খারিজ করে দেন।