এবার রাজধানীর খীলগাঁওয়ে রেস্টেুরেন্টে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারান নারী ও শিশুসহ ৪৬ জন। মর্মান্তিক এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা। এর পর থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানের হোটেল ও রেস্টুরেন্টে অভিযান চালানো হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি খুঁজতে এবার খিলগাঁওয়ে অভিযানে নেমেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে খিলগাঁওয়ে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান পরিচালনা করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।
অভিযানের শুরুতে খিলগাঁও শর্মা হাউজ রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা তদারকি করেন তারা। আজ দিনব্যাপী খিলগাঁও এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে অভিযান পরিচালনা করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে গতকাল ধানমন্ডি এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ঘাটতি পাওয়ায় দ্য বুফে এম্পায়ার, বাফেট লাউঞ্জ ও বাফেট প্যারাডাইজ নামক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ভিসা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড নামক প্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ব্যাপক দুর্বলতা পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও সামগ্রিকভাবে কেয়ারি ক্রিসেন্ট প্লাজার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার অপর্যাপ্ততা থাকায় পুরো ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বেইল রোডের গ্রিন কোজি কটেজে লাগা আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। যাদের সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, সেই ভবনের প্রথম তলায় ‘চায়ের চুমুক’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত। যা পরে পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র এক মাস আগে ভবনটির নিচ তলায় এ রেস্টুরেন্টটি যাত্রা শুরু করে। এরপর থেকেই রাজধানীর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রেস্টুরেন্টগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ জোরদার করতে অভিযান পরিচালনা করছে বিভিন্ন সংস্থা।