সবাই মিলে আমাকে নিশানা করছে: কঙ্গনা
বলিউড কুইন খ্যাত অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। বর্তমানে তার নামের পাশে আরও একটি উপসর্গ যুক্ত হয়েছে, সেটা হলো সংসদ সদস্য। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ভারতের বিজেপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রিতে ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলামেলা মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন বহুবার। এমনকি প্রকাশ্যে হত্যার হুমকিও পেয়েছেন তিনি। এবার ফুঁসে উঠলেন এই অভিনেত্রী।
আগামী ৬ সেপ্টেম্বর কঙ্গনা অভিনীত ও প্রযোজিত সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তির কথা থাকলেও এখনই মুক্তি পাচ্ছে না সিনেমাটি।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সিনমোটির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেন বোম্বে হাইকোর্ট। এমন রায় শুনে হতাশ তিনি।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কঙ্গনা লেখেন, ‘সবাই মিলে আমাকে নিশানা করছে। যখন একটা ঘুমন্ত দেশকে জাগিয়ে তুলতে হয়, এই মূল্যগুলো দিতেই হয়। আমি কি নিয়ে কথা বলছি কেউ বুঝতেই পারছে না। আমি কেন বিচলিত, কেউ বুঝতে পারছে না। কারণ, তারা শান্তি চান। তারা কোনো পক্ষ নিতে চান না। সবাই ঠান্ডা মাথায় বসে থাকতে চান।’
জানা গেছে, ‘ইমার্জেন্সি’ মুক্তির অনুমতি দেয়নি সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন। ফলে সেন্সর বোর্ড নির্বিচারে, বেআইনিভাবে ‘ইমার্জেন্সি’র ছাড়পত্র আটকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিনেমার নির্মাতা। ইতোমধ্যে বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা। যদিও তাতে খুব সুবিধা করে উঠতে পারেনি।
মূলত ইন্দিরা গান্ধীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়কেই তুলে ধরছেন কঙ্গনা। নিজেই অভিনয় করছেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রে। কিন্তু ছবিতে শিখ সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত লাগছে বলে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে শিরোমণি অকালি দলসহ বেশ কিছু শিখ সংগঠন। হুমকিও পেয়েছেন কঙ্গনা। যার ফলে ছাড়পত্র দেয়নি সেন্সর বোর্ড।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বোম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি বিপি কোলাবাওয়ালা এবং ফিরদোস পুনিওয়ালার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছে। সিনেমা নির্মাতাদের দাবি, ছাড়পত্র থাকা সত্ত্বেও মুক্তির অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সিনেমাটি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তার বাইরে তারা কিছু বলতে পারবে না।
পাশাপাশি সিবিএফসিকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে— আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘ইমার্জেন্সি’র প্রশংসাপত্র নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে।