বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে প্রেম করেই ক্যারিয়ার ধ্বংস হয় বলিউড অভিনেত্রীর!
অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সন্তানরা যারা সিনেমায় জায়গা পান, তাদেরকে স্টার কিডস বলা হয়। তারকার সন্তান হয়ে সিনেমায় পা রাখা গেলেও টিকে থাকতে হয় নিজের কাজ দিয়েই। অনেকে রুপালি দুনিয়ায় সুযোগ পেয়েও হারিয়ে ফেলেন। এ ক্ষেত্রে উদাহরণ হতে পারেন বলিউড থেকে হারিয়ে যাওয়া অভিনেত্রী প্রতিভা সিনহা। বাঙালি অভিনেত্রী মালা সিনহার মেয়ে তিনি। বলিউডে সুযোগ পেয়ে অনেক দূর এগিয়েছিলেন প্রতিভা। মায়ের মতোই সুন্দরী এবং অভিনয়ে মুনিশিয়ানা ছিল তার। কিন্তু ব্যক্তিজীবনের কিছু সিদ্ধান্তের মূল্য তিনি চুকিয়েছেন বলিউড থেকে বিদায় নিয়ে।
বলিউডে শুরুটা বেশ ভালোই হয়েছিল প্রতিভার। ১৯৯২ সালে ‘মেহেবুব মেরে মেহেবুব’ সিনেমার মাধ্যমে ফিল্মি দুনিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি। এরপর বেশ কিছু হিন্দি ও দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেন প্রতিভা। আমির খান ও কারিশমা কাপুর অভিনীত ‘রাজা হিন্দুস্থানি’ সিনেমায় ‘পরদেশি পরদেশি’ গানে দেখা গেছে তাকে।
পরে এক বিবাহিত সুরকারের প্রেমে পড়েন প্রতিভা। ক্যারিয়ারের মাঝামাঝিতে এসে সুরকার নাদিম সাইফির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী। বিবাহিত নাদিমের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেই ভালোভাবে নেননি প্রতিভার মা মালা। একপর্যায়ে সুরকারের সঙ্গে পালিয়ে যান প্রতিভা। এরপর একটি প্রেস কনফারেন্স করে নায়িকার মা জানান, তার মেয়েকে কিডন্যাপ করেছেন ওই সুরকার।
মায়ের অমতে বিয়ে করে মূল্য চোকাতে হয়েছিল প্রতিভাকে। সুখি হতে পারেননি সুরকার নাদিমও। এক সাক্ষাৎকারে নাদিম জানান, নিজেদের সম্পর্কের বড় মাশুল গুনতে হয়েছিল দুজনকেই। প্রতিভার মা মালা সিনহা সেসময় নাদিমের বিরুদ্ধে তার মেয়েকে অপহরণ ছাড়াও ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
পছন্দের পুরুষকে পালিয়ে বিয়ে করলেও শেষ পর্যন্ত সংসার টেকেনি প্রতিভার। নাদিমের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় অভিনেত্রীর। এই ঘটনার পর প্রতিভার ক্যারিয়ারেরও সমাপ্তি ঘটে। সবশেষ ২০০০ সালে ‘লে চল আপনে সঙ্গ’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল প্রতিভাকে।