আজ সারাদিন যেমন থাকবে আবহাওয়া
বাংলাদেশ উপকূলে রোববার সন্ধ্যার পরেই আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল, যা এখনও তাণ্ডব চালাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কারণে জলোচ্ছ্বাসে পানি বেড়ে অনেকে জায়গায় বাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবিত হয়েছে কয়েকশ গ্রাম। পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরায় প্রাণ গেছে দুজনের। এ অবস্থায় দেশের ৮ বিভাগেই ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে দেশের তিন বিভাগ ও তিন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও বগুড়া জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রতি ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার বেগে উপকূল অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি আশঙ্কা করছে, বাতাসের গতি ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। জোয়ারের সময় ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও রয়েছে।
অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।