সহিংসতা ও অবরোধে সাজেকে আটকা প্রায় ১৫০০ পর্যটক
গত কয়েকদিনের সহিংসতার জেরে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। এতে করে সাজেকে আটকা পড়েছেন প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন পর্যটক। পাহাড়ি–বাঙালি সংঘাতে এসব জেলায় বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, গণপরিবহন, নৌযান চলাচল। মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। কোথাও কাউকে জড়ো হতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
খাগড়াছড়ি-রাঙামাটিতে সংঘাতে চারজন নিহত ও ভাঙচুরসহ সহিংসতার প্রতিবাদে শুক্রবার ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় অবরোধ।
রাঙামাটির বাঘাইছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীণ আক্তার বলেন, ‘অবরোধের কারণে নিরাপত্তাঝুঁকি থাকায় আটকে পড়া অন্তত ১ হাজার ৫০০ পর্যটকদের নিয়ে কোনো গাড়ি ছাড়া হয়নি। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আটকে পড়া সকল পর্যটক নিরাপদ ও সুস্থ আছেন বলেও জানান শিরীণ আক্তার।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়ার নিউজিল্যান্ডে রাস্তায় মামুন নামে একজনের মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের তথ্যমতে, মামুন বাইক চুরি করে দ্রুতগতিতে পালাতে হিয়ে বিদ্যুতের পোলের সাথে ধাক্কা খেয়ে আহত হন। তখন তাকে ধাওয়া করা লোকজন পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে মামুনের মৃত্যু হয়। মামুনের বিরুদ্ধে ১৪টি চুরি মামলা এবং দুটি মাদক মামলা ছিল।
মামুনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার বিকেল খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভের পর বাস স্টেশন এলাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাঙামাটিতে বিক্ষোভের ডাক দেন পাহাড়ি সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। খাগড়াছড়ির সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে রাঙামাটিতেও।