ভারতের কলকাতায় সেমিকন্ডাক্টার কারখানা বসাতে চায় আমেরিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ AM

বলা হয়ে থাকে গণতন্ত্রে চিরন্তন বন্ধু বলে কিছু নেই। একসময় পাকিস্তানের সবচেয়ে কাছের বন্ধু রাষ্ট্র ছিলো আমেরিকা। এখন পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটির তেমন ভালো সম্পর্ক নেই। বিপরীতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করছে আমেরিকা। এরই অংশ হিসেবে ভারতের কলকাতায় সেমিকনডাক্টর কারখানা স্থাপনের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেসলাইন জানিয়েছে, গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে কলকাতায় ‘সেমিকনডাক্টর কারখানা’ তৈরির সম্ভাবনাময় দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ধরনের কারখানা তৈরি হলে উভয় দেশেরই কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

চার দেশীয় জোট কোয়াডের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। ওই সম্মেলেনর ফাঁকেই জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।

দ্য হিন্দু বিজনেসলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেমিকনডাক্টর এমন এক ধরনের বস্তু, যা নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতিতে তড়িৎবাহী হতে পারে। মূলত বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতিতে সেমিকনডাক্টর ব্যবহার করা হয়। মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, ল্যাপটপ, টিভি—এ জাতীয় যন্ত্রগুলোকে সচল রাখে এক ধরনের ‘চিপ’। এই চিপ তৈরির ক্ষেত্রে একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হল সেমিকনডাক্টর। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বর্তমান বিশ্বে সেমিকনডাক্টর ক্ষেত্রের গুরুত্বও ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকালের বৈঠকে ভারতীয় নেতা ও মার্কিন নেতা দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, নতুন প্রজন্মের টেলিযোগাযোগ এবং দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক সেন্সিং এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেছেন। তখন প্রসঙ্গক্রমে সেমিকনডাক্টর তৈরির কারখানা নিয়েও আলোচনা হয়।

কারখানাটি তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য, ইনফ্রারেড, গ্যালিয়াম নাইট্রাইড এবং সিলিকন কার্বাইড সেমিকনডাক্টর তৈরি করা, ভারতের সেমিকনডাক্টর মিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে দাবি করেছে নরেন্দ্র মোদির দপ্তর।

মোদি ও বাইডেনের আলোচনায় ‘গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ়’ নামে নিউইয়র্কভিত্তিক এক বহুজাতিক সংস্থার নামও উঠে এসেছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেমিকনডাক্টর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।

মোদী ও বাইডেন উভয়েই কলকাতায় গ্লোবাল ফাউন্ডারিজ়-এর একটি কারখানা তৈরির বিষয়ে সহমত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। কারখানাটির নাম হবে ‘জিএফ কলকাতা পাওয়ার সেন্টার’।