বোয়িংয়ের যন্ত্রাংশে ২০০টির বেশি ত্রুটি পাওয়ার দাবি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এয়ারলাইন্সে ছড়িয়ে আছে মার্কিন কোম্পানি বোয়িংয়ের বিমান। তবে বোয়িংয়ের সরবরাহ করা যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন এক হুইসেল ব্লোয়ার (গোপন তথ্য ফাঁসকারী)। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
 
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান কাঠামো নির্মাণকারী সংস্থা স্পিরিট এরোসিস্টেমের সাবেক কর্মকর্তা স্যান্টিয়াগো প্যারেডস নামের ওই হুইসেল ব্লোয়ার বিবিসিকে জানান, বোয়িংকে সরবরাহ করা যন্ত্রাংশে দু’শর বেশি ত্রুটি পেয়েছেন তিনি। 

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে বোয়িংয়ের সবচেয়ে বড় যন্ত্র সরবরাহকারী সংস্থা স্পিরিট এরোসিস্টেম। কোম্পানিটির এক মুখপাত্র  বলেন, ‘আমরা এই অভিযোগকে জোরালোভাবে প্রত্যাখান করছি।’

বিবিসি বলছে, প্যারেডস ২০১০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত স্পিরিট এরোসিস্টেমে কোয়ালিটি ইন্সপেক্টর হিসেবে কাজ করতেন।

আকাশে সংকট, মহাকাশেও সংকট, বোয়িং যাবে কোথায়?আকাশে সংকট, মহাকাশেও সংকট, বোয়িং যাবে কোথায়?
হুইসেল ব্লোয়ার প্যারেডস বলেন, ‘আমি বোয়িংয়ের কাছে চালান করা যন্ত্রের মধ্যে অনেক বাঁকানো অংশ খুঁজে পেয়েছি। কিছু কিছু যন্ত্রাংশ সেখানে দেওয়াও হয়নি।’

তবে এ নিয়ে বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এদিকে বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন সংস্থা দ্য ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)। এর আগে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি এফএএকে জানায়, ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের পর্যবেক্ষণ ঠিকঠাকমতো হয়নি। এরপরই এই তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিল উড়োজাহাজ পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি। এফএএ বলছে, পর্যবেক্ষণের সময় সংশ্লিষ্টরা কোনো ভুল করেছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে। 

গত জানুয়ারিতে আলাস্কায় ফ্লাইট চলাকালীন বোয়িংয়ের ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের একটি উড়োজাহাজের দরজায় বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনার পর বোয়িংয়ের নিরাপত্তার মান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিশেষজ্ঞরা। ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করে।

নিরাপত্তা ত্রুটি বুঝতে পেরেই বোয়িং কোম্পানি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের উৎপাদন কমিয়েছে বলে ধারণা করছেন অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা। এ ব্যাপারটিও আমলে নিয়েছে এফএএ। এই ত্রুটি প্রমাণিত হলে, বিশ্বজুড়ে ১১ শর বেশি ড্রিমলাইনার না ওড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

সম্প্রতি ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের কারিগরি ত্রুটির কথা সামনে এনে আলোচিত হয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রকৌশলী স্যাম সালেহপর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের কাছে তিনি দাবি করেছেন, ‘উৎপাদন বাড়াতে গিয়ে উড়োজাহাজগুলোর অনেক ক্রটিকে পাত্তা দেওয়া হয়নি।’