বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী বছরের মাঝামাঝিতে
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর উৎক্ষেপণ কার্যক্রম শুরু হবে আগামী বছরের অর্থাৎ ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে। কারিগরি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষ। এখন দরদাম চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে সমুদ্রে নজরদারি। কৃষি ও বন্যার তথ্যও মিলবে সহজে।
২০২৩ সালে মধ্যে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল স্যাটেলাইট-২। শুরুতে একটি রাাশিয়ান প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কাজ চলছিল। কিন্তু যুদ্ধের কারণে মস্কোর ওপর দেয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর উৎক্ষেপণ। এরপর ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানির মাধ্যমে প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এই টানাপড়েনে প্রায় আড়াই বছর পিছিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর উৎক্ষেপণ। ২০২৫ সালের মাঝামাঝি উৎক্ষেপণের পথে হাঁটছে বিসিএসসিএল।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে এটি উৎক্ষেপণ করা হতে পারে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ একটি স্যাটেলাইট না, ছোট ছোট কিছু স্যাটেলাইট মিলে গুচ্ছ।
তিনি আরও বলেন, আমরা এয়ারবাসের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ নেব। আমাদের সাথে টেকনিক্যাল তথ্য আদান প্রদান হয়েছে। আমরা টেকনিক্যাল প্রস্তাব ওদের কাছে দিয়েছি। ওরা যাচাই বাছাই করে ফিডব্যাক দিয়েছে। আমরা খুব শিগগিরই একটা চুক্তি স্বাক্ষর করবো সব কিছু মিলে।
মহাকাশ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করাই হবে, এই স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ। সুনীল অর্থনীতির পরিধি বাড়ছে। সমুদ্র পর্যবেক্ষণের জন্যও স্যাটেলাইটটি কাজে লাগবে। বন্যা ও কৃষি তথ্য পেতে আরও সহায়ক হবে।
বঙ্গবন্ধু-২ স্যাটেলাইটের অভিযানের সময়কাল ১৮ বছরের মতো। এটি হবে একটি পৃথিবী অবজারভেটরি স্যাটেলাইট। এটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরে ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান করবে। ফলে দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের জন্য অরবিটাল স্লট প্রয়োজন হবে না। গেল বছরে বাংলাদেশ সফর করেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ওই সময়ে এমওইউ স্বাক্ষর হয়।
বিসিএলসিএলের তথ্যমতে, দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের আনুমানিক ব্যয় হবে ৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালের ১১ মে (বাংলাদেশ সময় ১২ মে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ। এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পণ্য উৎক্ষেপণ ছিল।