ইউটিউব থেকে যেভাবে আয় হয়
-1040549.jpg?v=1.1)
বর্তমানে বাংলাদেশে ইউটিউব একটি জনপ্রিয় আয় উৎস হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ইউটিউব চ্যানেল খুলে কনটেন্ট তৈরি করে অর্থ উপার্জনের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে। তবে অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না—আসলে ইউটিউব থেকে কত ভিউতে কত আয় হয়।
অনেকে মনে করেন, শুধুমাত্র ভিউ সংখ্যা বাড়লেই আয় বাড়ে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউটিউবে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে ‘কস্ট পার মাইল’ (Cost per Mille বা CPM)-এর ওপর, অর্থাৎ প্রতি হাজার ভিউতে কত টাকা পাওয়া যাবে, তা নির্ধারিত হয় এই সিপিএম রেট অনুযায়ী।
সিপিএম মানে প্রতি হাজার ভিউ বা বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য বিজ্ঞাপনদাতা যে অর্থ দেয়। এটি বিজ্ঞাপনদাতার খরচের হিসাব এবং ইউটিউব ক্রিয়েটরের আয় হিসাবের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
গড়ে বাংলাদেশি ইউটিউব চ্যানেলগুলোর সিপিএম থাকে প্রায় শূন্য ৫ ডলার, অর্থাৎ প্রতি হাজার ভিউ থেকে আয় হয় ৬১ টাকা (১ ডলার সমান ১২২ টাকা ধরে)।
তবে সিপিএম দেশের ভিত্তিতেও পরিবর্তিত হয়। যেমন—আমেরিকা, কানাডা, ইউরোপ থেকে আসা ভিউতে সিপিএম অনেক বেশি থাকে, যার ফলে আয়ও অনেক বেড়ে।
চ্যানেলের আয় নির্ভর করে যেসব বিষয়ের ওপর—
১. কনটেন্টের ধরন বা বিষয়
কিছু ক্যাটাগরির ভিডিওতে সিপিএম অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে—ফিন্যান্স (অর্থ ও বিনিয়োগ), প্রযুক্তি (টেক রিভিউ, সফটওয়্যার), স্বাস্থ্য ও জীবনযাপন।
২. ভিউয়ারদের দেশ
আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডার দর্শক থাকলে সিপিএম বেশি হয়, তাই আয় বাড়ে। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের দর্শকের সিপিএম কম হওয়ায় আয় কম হতে পারে।
৩. বিজ্ঞাপনের ধরন
ইউটিউবে কিছু বিজ্ঞাপন স্কিপ করা যায়, আবার কিছু স্কিপ করা যায় না। স্কিপ করা যায় না, এমন বিজ্ঞাপন থেকে ক্রিয়েটররা বেশি আয় পান।
৪. দর্শকের মনোযোগ ও ইন্টারঅ্যাকশন
যদি দর্শক বিজ্ঞাপন সম্পূর্ণ দেখে অথবা ক্লিক করে, তাহলে আয় বেড়ে যায়। শুধু ভিউ পাওয়াই নয়, বিজ্ঞাপনের সঙ্গে দর্শকের সম্পৃক্ততাও আয় বাড়ায়।
৫. ভিডিওর দৈর্ঘ্য ও ফরম্যাট
দীর্ঘ ভিডিওতে একাধিক বিজ্ঞাপন দেখানো যায়, ফলে আয় বেশি হতে পারে। শর্ট ভিডিওতে বিজ্ঞাপনের সুযোগ কম থাকে।
৬. চ্যানেলের জনপ্রিয়তা ও সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা
যদিও সরাসরি আয় না বাড়ায়, তবে জনপ্রিয়তা বেশি হলে ভিডিওর ভিউ ও দর্শক ধরে রাখার ক্ষমতা বাড়ে, যা পরোক্ষভাবে আয় বাড়ায়।
১০০০ ভিউতে আয় গড়ে ৬১ টাকা হলেও এটি একটি আনুমানিক হিসাব। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে শুধু ভিউ নয়, ভিউয়ের গুণগত মান, দর্শকদের দেশ, বিজ্ঞাপনের ধরন এবং ভিডিওর বিষয়বস্তু—সব মিলিয়ে আয় নির্ধারিত হয়।
সূত্র: ইজ দিস চ্যানেল মনিটাইজড