বাংলাদেশিদের নিয়ে অভিনেতা রুদ্রনীলের আপত্তিকর মন্তব্য
বাংলাদেশিদের নিয়ে বরাবরই বিষ্ফোরক মন্তব্য করে থাকেন ভারতের বিজেপির নেতাকর্মীরা। এবার বাংলাদেশিরা কলকাতায় গুলশান কলোনি তৈরি করছেন। বাংলাদেশিরা হু হু করে ঢুকে পড়ছেন কলকাতায়। কসবার গুলশান কলোনিতে ঘাঁটি গাড়ছেন রোহিঙ্গা মুসলিমরাও।
সম্প্রতি বাংলাদেশকে নিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে বঙ্গ বিজেপি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সরব উপস্থিতি দেখা গেছে বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনিও দাবি করে বলেছেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানরা ভারতে ঢুকে পড়ছে।
অভিনেতা বলেন, ‘এড়িয়ে যাবেন না। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে সত্যিটাকে ভয় পান। একটা অপদার্থ রাজ্যসরকার শুধু ক্ষমতা টাকা আর ভোটের লোভে কীভাবে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিয়েছে রাজ্যবাসী আর দেশকে ভাবুন।
তিনি বলেন, ২২০০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ খোলা সীমান্ত দিয়ে হু হু করে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে পড়ছেন অবৈধ বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গা মুসলমানরা। এই রোহিঙ্গাদের মুসলিমপ্রধান রাষ্ট্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তাদের দেশ থেকেও তাড়াচ্ছে।
রুদ্রনীল বলেন, এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীতে ভরে যাচ্ছে আপনার গ্রাম ও শহর। এতে বাড়ছে তৃণমূলের বেআইনি অবৈধ ভোটব্যাংক। সঙ্গে বাড়ছে আমার দেশ রাজ্যের সর্বনাশ। তৃণমূল নেতারা ও রাজ্য সরকার তাদের বানিয়ে দিচ্ছে ভোটার কার্ড। তিনি বলেন, আসলাম খান হয়ে যাচ্ছে, অসীম খাঁ। সাবিনা হয়ে যাচ্ছে সাবিত্রী চক্রবর্তী। উন্নয়নের ঢেউতে মিশে যাচ্ছে সর্বনাশের বিষ। সব দেখে সব জেনেও চোখকান বন্ধ রেখেছে অনুপ্রাণিত, দলদাস পুলিশ। দখল হচ্ছে আপনার মাটি। দুর্নীতিবাজ তৃণমূলের ভোট আর টাকার লোভে। এই তৃণমূল সরকার আজ বাদে কাল বিদায় নেবে। ততক্ষণে যা সর্বনাশ হওয়ার তা নিশ্চিত সমাপ্ত! সল্টলেক রাজারহাট দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া, মেদিনীপুর,বারাসত, মধ্যমগ্রাম, উঃ ২৪ পরগনাসহ সব বর্ডার জেলা ভরে যাচ্ছে তৃণমূলের অবৈধ ভোটব্যাংকে। অবৈধ ভোটার কার্ড নিয়ে এরা ছড়িয়ে পড়ছে ভারতের সর্বত্র। বিপন্ন আপনি আমি আমাদের দেশ।
তিনি আরও লিখেছেন—কদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার যে কসবা অঞ্চলে (রুবি মোড় / অ্যাক্রোপলিস মলখ্যাত এলাকা) তৃণমূল কাউন্সিলার সুশান্ত গুলি খেতে খেতে বেঁচে গেল, সেই এলাকাতেই এই গুলশান কলোনি/মিনি বাংলাদেশ! (খিদিরপুর তো আগেই মন্ত্রী ববি হাকিম দ্বারা ঘোষিত মিনি পাকিস্তান।) আর এই কসবা বিধানসভার দাপুটে জমিনদার হলেন তৃণমূল মন্ত্রী জাভেদ খান। যার নির্দেশ ছাড়া ওই এলাকায় তৃণমূলের ছোট-বড় নেতা, কাউন্সিলর বা ক্রিমিনালরা সোনার দামের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ে না কাউকে, সেখানে অবাধে বিস্তীর্ণ হয়েছে অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের গুলশান কলোনি!
তিনি বলেন, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন গুলশান শব্দটা এই মাটির চেনা শব্দ নয়! ও হ্যাঁ, এই গুলশান কলোনির অঘোষিত মালিক জাভেদ খান কিন্তু মমতা মন্ত্রিসভার খুব বিশ্বস্ত, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী!
রুদ্রনীল বলেন, দুর্যোগ আপনার-আমার দেশ ও রাজ্যের, ব্যবস্থাপনায় মমতার মন্ত্রী জাভেদ খান। এই বিষধর গুলশন ফুটেছে— একটা নয়, শত শত। তার বিষ আপনার জন্য।
এদিকে রুদ্রনীলের সেই স্ট্যাটাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনরাও তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। একজন নেটিজেন বলেছেন— বাংলাদেশ নিয়ে তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আরেক নেটিজেন বলেছেন— মুসলমানদের কেন্দ্র করে বিজেপি সবসময় এমন ধর্ম আর গুজবের রাজনীতি করে গেছে। কেউ আবার অভিনেতার শঙ্কার সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।