প্রথমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে যুক্ত হলো তুরস্কের ড্রোন
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে যুক্ত হয়েছে বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোন। ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ড্রোনটিতে লাগানো আছে উন্নত প্রযুক্তির ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা এবং বহন করা যাবে লেজার-নিয়ন্ত্রিত বোমাও। উড়ে গিয়ে নির্ভুল নিশানায় লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে এ ড্রোন।
ফোর্সেস গোল ২০৩০ এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে তুরস্ক থেকে এ যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
আকাশে উড়তে থাকা বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনটি আকারে ছোট একটি উড়োজাহাজের সমান। চারটি লেজার গাইডেড স্মার্ট রকেট সংযুক্ত করে লক্ষ্যবস্তুতে অনায়াসে আঘাত করতে পারে এ বিশেষ ড্রোন। পাশাপাশি ড্রোনটি সর্বোচ্চ সাতশো কেজি ওজন নিয়ে ঘণ্টায় ১২৯ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে সক্ষম। এতে জ্বালানি ধারণা ক্ষমতা ৩০০ লিটার। এই ড্রোন ১৮ হাজার ফিট উচ্চতায় থেকে কার্যক্রম চালাতে পারে। এছাড়া বেজ স্টেশন থেকে তিনশো কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ড্রোনটি চালানো যায়।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এরকম ড্রোন কমিশনিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ছুঁয়েছে অন্যরকম মাইফলক। বায়রাক্টার টিবি-টু ড্রোনটিকে স্মার্ট বাংলাদেশ এবং সেনাবাহিনীর অভিযান কার্যক্রমকে স্মার্ট করার প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কারও সঙ্গে যুদ্ধ বা বৈরিতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এই পররাষ্ট্র নীতিতে চলা বাংলাদেশ বর্হিশত্রুর আক্রমণ এলে যাতে পিছিয়ে না থাকে। সেই প্রস্তুতিই হিসেবেই এ ধরনের প্রযুক্তি সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলছে সংশ্লিষ্টরা। এর বাইরে দেশের ভেতরে যেকোনো ধরনের সার্ভিলেন্স কার্যক্রমেও ব্যবহার করা যাবে এই ড্রোন।’
এর আগে, সকালে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন সেনাপ্রধান। এবার ৮৫তম দীর্ঘমেয়াদি এবং ৫৮তম স্পেশাল কোর্সে মোট ২৬০জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করে।