১২০০ ভবনের বিরুদ্ধে একশনে রাজউক
-1121036.jpg?v=1.1)
অনুমোদন ছাড়াই নির্মিত প্রায় ১২০০ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। আশুলিয়া ও সাভার এলাকায় রাজউকের মহাপরিকল্পনার আওতাভুক্ত এলাকায় অনুমতি ছাড়া ভবন নির্মাণ করায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
কাঠগড়া এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রব ব্যাপারী এমনই একজন ভুক্তভোগী। গত জুনে রাজউকের অভিযানে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি জানান, অনুমতির বিষয়টি জানতেন না বলেই আবেদন করেননি। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ—রাজউকের কিছু কর্মকর্তা তথ্যদাতাদের মাধ্যমে ঘুষ আদায় করেন। যাঁরা টাকা দেন, তাঁদের ভবনের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।
কাঠগড়ার বাসিন্দা সোহেল হোসেন বলেন, “আমাদের বাড়ির পাশেই দুটি ভবন অনুমতি ছাড়াই গড়ে উঠেছে, কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি রাজউক। অথচ আমাদের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” আরেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, রাজউকের পরিদর্শক পরিচয়ে হাবিবুর রহমান নামে একজন তাঁর কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ৫ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন।
গত তিন মাসে ভাটপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর নগর হাউজিং সোসাইটিতে অন্তত ২২টি ৮ থেকে ১০ তলা ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে রাজউক। ভবনমালিক রিপন চন্দ্র দাস জানান, অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ প্রায় অসম্ভব হওয়ায় অনেকেই নিয়ম ভঙ্গ করে নির্মাণ করছেন। একই সোসাইটিতে আরও দুই শতাধিক ভবন অনুমোদনবিহীনভাবে নির্মিত হলেও সেগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
‘জম জম টাওয়ার’ নামের ১০ তলা একটি ভবনের ক্ষেত্রে কোনো উন্মুক্ত স্থান ছাড়াই নির্মাণ শেষ হলেও রাজউক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভবনমালিকদের একজন বলেন, অনুমোদন থাকলেও নকশা ঠিকভাবে মানা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত নন।
এ বিষয়ে রাজউকের উত্তরা জোনাল অফিসের সাবেক অথরাইজড অফিসার পলাশ শিকদার জানান, অনুমোদন ছাড়াই বা নকশাবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সাভার, আশুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১২০০ ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “যেসব ভবনের নির্মাণ এখনো চলছে, অনুমোদন না থাকলে বা নকশা লঙ্ঘন হলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে যেসব ভবনে মানুষ বসবাস শুরু করেছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে আপাতত ব্যবস্থা না নেওয়ার নির্দেশ আছে।”