ফেসবুক-ইনস্টার পর খামেনির হিব্রু ভাষার এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক জার্নাল আন্তর্জাতিক জার্নাল
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০২ PM

ইরানে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে বইছে উত্তেজনা। এর মাঝেই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির হিব্রু ভাষার এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের হিব্রু ভাষার অ্যাকাউন্ট থেকে দুইটি পোস্ট করেন খামেনি। এর পরই অ্যাকাউন্টটি ‘সাসপেন্ড’ বা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত রবিবার খামেনি ‘গুরুতর অসুস্থ’ এবং তাঁর উত্তরসূরি নির্বাচন নিয়ে ‘নীরব প্রতিযোগিতা’ চলছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিন বিকেলেই তেহরান ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের ইসরায়েলি বিমান হামলা নিয়ে এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে ওই গুজবে পানি ঢেলে দেন।

খামেনি তাঁর মূল অ্যাকাউন্টের পোস্টে বলেন, ‘ইরানে ইসরায়েলে হামলাকে বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেখার সুযোগ নেই।’

এরপর হিব্রু ভাষার অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘জায়োনিস্ট শাসকরা ভুল করেছে। ইরান নিয়ে তাদের হিসাবে ভুল আছে। জাতি হিসেবে ইরানের ক্ষমতা, সক্ষমতা, উদ্যোগ ও অভিলাষ সম্পর্কে তাদেরকে ধারণা দেওয়া হবে।’

এই একই পোস্ট আবার মূল অ্যাকাউন্টেও ইংরেজি ভাষায় দেন তিনি।

জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, হিব্রু ভাষার এক্স অ্যাকাউন্টে গত শনিবার প্রথম পোস্ট করেন খামেনি। ওই পোস্টে লেখেন, ‘পরম করুণাময়, দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।’

এক্সের নীতি অনুযায়ী, ‘হিংসাত্মক এবং ঘৃণা’ ছড়ায় এমন কিছু নিষিদ্ধ করে, তবে এটি ‘রাষ্ট্রীয় বা সরকারি সংস্থাগুলোর’ জন্য প্রযোজ্য নয়। সে হিসেবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির অ্যাকাউন্ট বাতিল হওয়ার কথা নয়।

তবে খামেনির অ্যাকাউন্ট স্থগিতের কারণ সম্পর্কে এখনও এক্স কর্তৃপক্ষের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে চলতি বছরের মার্চে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বাতিল করে মেটা। এ ঘটনাকে ‘অবৈধ ও অনৈতিক’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল ইরান। 

তবে মেটার দাবি, ‘বিপজ্জনক সংস্থা ও ব্যক্তিদের’ বিষয়ে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের নীতি ‘বারবার লঙ্ঘন’ করায় খামেনির অ্যাকাউন্টগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

ইরানে আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বগত ৩৫ বছর ধরে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছেন। হিব্রু ভাষায় তাঁর অ্যাকাউন্ট চালু করা মাত্রই দ্রুতই অনুসারী বাড়তে থাকে। ইসরায়েলি নাগরিকদের কাছে নিজের বক্তব্য প্রচারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এটি ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় ভাষা হিব্রু।