শীতে অসহায়কে সহযোগিতা করুন
শীতকাল মোমিনের বসন্তকাল
অন্যান্য ঋতুর চেয়ে শীত ঋতুতে ইবাদত-বন্দেগি তুলনামূলকভাবে বেশি করা যায়। আল্লাহর নৈকট্য পেতে অধিক হারে আমলে মগ্ন থাকা যায়। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘শীতকাল মোমিনের বসন্তকাল। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং: ১১৬৫৬)
আমরা চাইলে এ সময় বিভিন্ন ভাবে পরকালীন ভালো কাজগুলো করতে পারি। যেমন:
শীতবস্ত্র বিতরণ করা
দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য মানুষ আর্থিক দৈন্যতার কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। হাড় কাঁপানো শীতে টিকে থাকাই তাদের জন্য দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে তাদের পর্যাপ্ত কাপড় নেই।
আরামদায়ক উষ্ণ পোশাকে আমরা যখন শীত উপভোগ করি, তখন শৈত্যপ্রবাহে লাখ লাখ মানুষ থরথর করে কাঁপে। ইসলামী ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের জন্য একান্ত জরুরি। আমাদের প্রত্যেকেই সাধ্যমতো এগিয়ে আসতে পারেন। শীতের কম্বলসহ সাধ্যমত পোশাক দিয়ে আমরা সাহায্য করতে পারি।
মুসলমানকে কাপড় দান করার কী ফজিলত সে সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, “যে মোমিন অপর বিবস্ত্র মোমিনকে কাপড় পরিয়ে দিল আল্লাহ তায়ালা ওই ব্যক্তিকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিয়ে দেবেন।”
-তিরমিজি, হাদিস নং: ২৪৪৯, মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং: ১১১১৬
অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘আল্লাহ তাকে জান্নাতি পোশাক পরিয়ে দেবেন। ’ (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব, ২/৯২)
শীতে অসহায়কে সহযোগিতার পাশাপাশি আল্লাহ আমাদের অন্যান্য আমলগুলোও করার তাওফিক দান করুন।