‘ফতোয়ায়ে ওয়াকিয়াতের’ ভাষায় ফেক আইডি
সকলের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক থেকে এসব এড়িয়ে চলা
প্রযুক্তির কল্যাণে অথবা মানুষের প্রয়োজনে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের সামনে এমন অনেক বিষয় আসে, যা ইসলামের সোনালি যুগে অর্থাৎ রাসুল (সা.)-এর সময়ে ছিল না। নবসৃষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর রায় প্রদান করাকে ইসলামি শরিয়ায় ‘ফতোয়ায়ে ওয়াকিয়াত’ নামে অভিহিত করা হয়। তেমনি একটি ফতোয়া হলো ফেসবুক-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেক আইডি বা ভূয়া আইডি ব্যবহারের শরয়ি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের জানা দরকার।
ইসলামে যেকোনো ধরনের বেআইনি কাজ নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মের নির্দেশনা বিরোধী নয়, এমন যেকোনো রাষ্ট্রীয় ও আইনি বিধি-নিষেধ সর্বসাধারণের জন্য মেনে চলা আবশ্যক। ফেসবুকে ফেক আইডি পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণত বেশ কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে।
১. মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হয়। তৈরি করা হয় সমাজে অস্থিতিশীলতা। সৃষ্টি করা হয় দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানা ধরনের অনৈতিক, অসামাজিক ও অনৈসলামিক কাজ।
২. রাষ্ট্র ও দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়।
৩. ব্যক্তিগত আক্রোশ, মন্তব্যসহ উসকানিমূলক কাজ করা হয়।
৪. সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা ধরনের গুজব, মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়।
৫. ধর্মীয় বিদ্ধেষ, উসকানিসহ ইসলাম ধর্মের অবমাননাকর কনটেন্ট, পোস্ট, মন্তব্য ইত্যাদি করা হয়।
উপরিউক্ত কারণে ফেক আইডি ব্যবহার করা জায়েজ নেই। শোয়াবুল ইমান : ৬৯৭৮
আমাদের সকলের উচিত এ বিষয়ে সতর্ক থেকে এসব এড়িয়ে চলা।