অভিবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ দিল যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যে অভিবাসন নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের নেতৃত্বাধীন সরকার। সোমবার (১১ মে) প্রকাশিত ৮২ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্রে এসব পরিবর্তনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। তার আগের দিন রোববার প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এ নিয়ে আভাস দিয়েছিলেন।
নতুন নীতিমালার মূল পরিবর্তনগুলো হলো:
১. নাগরিকত্বের জন্য বসবাসের সময়সীমা দ্বিগুণ:
আগে ৫ বছর যুক্তরাজ্যে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যেত। এখন সেটি বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।
২. কঠোরতর ইংরেজি ভাষা দক্ষতার শর্ত:
নাগরিকত্ব আবেদনকারীদের এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল প্রাপ্তবয়স্কদের ইংরেজিতে প্রাথমিক দক্ষতা থাকতে হবে এবং তা প্রমাণ করতে হবে।
৩. অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগে নিয়োগকর্তাদের ওপর চাপ:
দেশীয় শ্রমবাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অভিবাসী শ্রমিক নিয়োগে নিয়োগকর্তাদের নিরুৎসাহিত করা হবে।
৪. দক্ষতার ভিত্তিতে ভিসা অনুমোদন:
শুধুমাত্র দক্ষ কর্মীদেরই ভিসা দেওয়া হবে। কম দক্ষ অভিবাসীদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
৫. কম দক্ষ কর্মী ভিসা হ্রাস:
২০২৫ সালের মধ্যেই কম দক্ষ কর্মী ভিসার সংখ্যা ৫০ হাজার কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
৬. সামাজিক সুরক্ষা ভিসা বাতিল:
এই ভিসা তুলে নেওয়া হচ্ছে। পরিবর্তে কর্মী ভিসার সংখ্যা বাড়ানো হবে।
৭. শিক্ষার্থী ভিসা বৃদ্ধি:
শিক্ষার্থী ভিসার সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে এবং এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে শিগগিরই দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।
৮. পারিবারিক ভিসায় নজরদারি বৃদ্ধি:
পারিবারিক ভিসায় যুক্তরাজ্যে যাওয়া ব্যক্তিরা নজরদারির আওতায় থাকবেন। আইন লঙ্ঘন করলে তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানো যাবে।
প্রধানমন্ত্রী স্টারমার জানিয়েছেন, অভিবাসনের প্রতিটি ধাপে কঠোরতা আনা হচ্ছে যেন সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার হয়।