ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানালেন মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণতন্ত্রবিরোধী সব ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশের সচেতন ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সাধারণ পাঠাগার মাঠে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জেলা ছাত্রদল আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের ফলে আমাদের সামনে একটা সুযোগ এসেছে। আমরা সবসময়ই দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে চেয়েছি এবং আজও চাই। গণতন্ত্র, মানুষের কথা বলার অধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে চাই।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এই মুহূর্তে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সব ছাত্রকেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সবার আগে মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করতে হবে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে মনোযোগী হতে হবে। এরপরে প্রধান দায়িত্ব হলো- দেশের দিকে মনোযোগী হয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শকে ধারণ করা। শক্তিশালী এসব দর্শন জনসাধারণের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও ছাত্র সমাজকে নিতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনায় খুব কম সময় পেয়েছিলেন। কিন্তু এই অল্প সময়েই তিনি ছাত্রদের মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনেও তার ভূমিকা অপরিসীম। তবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে তিনি তার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে খুব একটা সময় পাননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিগত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। সেই পতিত স্বৈরাচার দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, অর্থনীতি, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে হত্যা ও আহত করেছে। তিনি বলেন, আজ যখন আমরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছি; তখন আমাদের সামনে একটা নতুন সুযোগ এসেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে অনেক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা কখনোই সেই ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের কাছে মাথানত করবো না। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটা বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। কিন্তু আজ সবক্ষেত্রে বৈষম্য, দুর্নীতি হচ্ছে। আমরা যদি অবাধ, নিরপেক্ষ, জনসাধারণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি সার্বভৌম পার্লামেন্ট গড়ে তুলতে পারি; তবেই এসব লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্রদের সবসময় জ্ঞানচর্চা করতে হবে। তাদের এখন জ্ঞানভিত্তিক রাজনীতি করতে হবে। কীভাবে দেশের ও পরিবারের কল্যাণ হবে সেই চেষ্টা করতে হবে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।’