আমি কারও দয়ায় চলি না : শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:১৬ AM

বারবার বলা সত্ত্বেও সন্ত্রাসবিরোধী মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জের ডিসি-এসপি না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। এ বিষয়ে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্ন তুলবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমার নাম শামিম ওসমান, আমি কারও দয়ায় চলি না।

গত শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও কিশোর গ্যাং নির্মূলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপেক্স স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি একথা জানান।

নারায়ণগঞ্জে মাদক, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাংসহ প্রধান সামাজিক সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের আহবানে সাড়া দিয়ে এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হন জেলার আলেম ওলামা, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিসহ সব পেশাজীবী মানুষ।

মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি বন্ধে করণীয় ঠিক করতে আয়োজিত সভায় শামীম ওসমানের আমন্ত্রণে সাড়া দেননি স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ হন তিনি। রাজনৈতিক জীবনের ৪৫ বছরে কখনও এত বিব্রত হননি বলেও মন্তব্য করেন এ নেতা। 

ডিসি-এসপির বিরুদ্ধে এ জন্য সংসদে ‘নালিশ’ করবেন বলেও জানান শামীম ওসমান। তবে শামীম ওসমানের এ অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিনি (শামীম ওসমান) আমাকে অনুষ্ঠানের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আমাকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন। আমি গতকাল সরকারি কাজে ব্যস্ত ছিলাম, আর এটা তো আসলে অফিসিয়াল কোনো অনুষ্ঠানও ছিল না। এ বিষয়ে আসলে তেমন কিছু বলতে চাচ্ছি না।   

শামীম ওসমানের সাথে দূরত্বের বিষয়টি অস্বীকার করে ডিসি বলেন, না, না। তার সাথে আমার কোনো দূরত্ব নেই।   

গতকালের অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা বন্ধে আজকের এই আয়োজন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এরপরও তারা কেন আসেননি, তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাইব। মনে রাখবেন, আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারো দয়ায় চলি না। 

জেলা প্রশাসককে বারবার আমন্ত্রণ জানানোর কথা উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, নাসিক মেয়রের (ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী) মতো বলতে পারব না যে প্রশাসন টাকা কামাতে আসে। জেলা প্রশাসককে বারবার দাওয়াত দিয়েছি। তিনিসহ প্রশাসনের অন্যরা কেন আসেননি, জীবিত থাকলে এই প্রশ্ন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জিজ্ঞেস করব। এটা আওয়ামী লীগের সরকার, সরকারের আওয়ামী লীগ না। রাজপথ থেকে সৃষ্টি হয়েছি, রাজপথেই শেষ হব।  মাথা নোয়াবার মানুষ নই আমি। প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র সাড়ে চার লাখ লোক রাস্তায় নেমে যদি বলে আমরা নারায়ণগঞ্জে অমুককে চাই না, তাহলে কিন্তু কেউ থাকতে পারবেন না।