ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা আমাদের নেই
জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে: প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা আমাদের নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ যাকে ভোট দেবে, সে ক্ষমতায় আসবে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যতক্ষণ ক্ষমতায় আছি দেশের উন্নতি করছি। দেশের যে উন্নতি হয়েছে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে। এই বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশের মধ্যে অনেক তফাৎ। এটা এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের তো ‘হাওয়া ভবন’ নেই। কাউকে পার্সেন্টিজ দিয়ে ব্যবসা করতে হয় না। ব্যবসায়ীরা স্বাধীনভাবে ব্যবসা করতে পারেন। অন্তত এইটুকু সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি প্রতিদিন অবরোধ-হরতাল ডেকে জ্বালাও-পোড়াও করে যাচ্ছে। এর আগেও ২০১৩-১৪ সালে তারা একই কাজ করেছে। আমি জানি না এই আন্দোলন করে তারা কী পাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে পুড়িয়ে মারার মধ্য দিয়ে কী আন্দোলন হয় সেটা আমার জানা নেই। আমরাও আন্দোলন করেছি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু আমি এ রকম আন্দোলন দেখিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেখেছিলাম পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল। আর এখন দেখি ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা। হাসপাতালে পর্যন্ত তারা বোমা হামলা করে। ঠিক আমাদের দেশে যেন সেই চিত্রটাই এখন দেখতে পাচ্ছি।
বিএনপির আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মানুষ মারার জন্য রেললাইন উপড়ে ফেলে বা জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে, তাদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ বলে কিছু নেই। তাদের শাস্তি একদিন পেতেই হবে। জনগণকে বলব তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য।
তিনি বলেন, ‘এটা দেখেছি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে, তারা আমাদের এভাবে সব জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। আর এখন দেখি ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলা, হাসপাতাল রেহাই পায় না। হাসপাতালের ওপর পর্যন্ত তারা বোমা হামলা করে। ঠিক আমাদের দেশে যেন সেই চিত্রটাই দেখতে পাই।’