কেউ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৫৯ AM

কেউ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে না পারে, সেদিকে নজর দিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের ৩০০ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ সময় শেখ হাসিনা মনোনয়নে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে নেতাদের নির্দেশ দেন।

বিরোধীদল না আসা সাপেক্ষে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে আসন উন্মুক্ত করা হবে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ যেন নির্বাচিত হতে না পরে। সেক্ষেত্রে একাধিক ডামি প্রার্থী রাখতে মত দেন দলীয় প্রধান।

এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময় করতে সকাল থেকে নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে সারিবদ্ধভাবে গণভবনে প্রবেশ করেন। নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে ভেবেই উচ্ছ্বসিত ছিলেন তারা।

সকাল থেকেই সারা দেশ থেকে আসা মনোনয়নপ্রত্যাশীরা গণভবনের প্রবেশ করতে থাকেন। একপর্যায়ে দীর্ঘলাইন ধরে তাদের প্রধান গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

গত শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় দলটির সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এতে বলা হয়েছে, সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা। সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত দলের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সব সদস্য এবং দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী সব প্রার্থীকে (জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, মনোনয়নপত্রের রিসিভ কপি, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অনলাইন ফরমের ফটোকপিসহ) যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬২টি। দলীয় সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় ৫০ থেকে ৬০টি আসনে পরিবর্তন আসতে পারে।