বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়ে বিষ্ফোরক নাহিদ ইসলাম
-1071109.jpg?v=1.1)
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে এই দেশে মুজিববাদী ও আওয়ামী সংবিধান পরিবর্তন করে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। যে সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ, গণঅভ্যুত্থান ও ব্রিটিশবিরোধী লড়াইয়ের কথা থাকবে।
সোমবার (৭ জুলাই) সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় পথসভা ও পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, মুজিববাদী ও আওয়ামী লীগের সংবিধান গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করেনি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিভাজিত করেছে। এই সংবিধান দেশকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যত গুম-খুন হয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকটির বিচার করতে হবে। বিচার না করা পর্যন্ত আমরা নির্বাচনে যাব না। অবশ্যই সব কিছুর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা পুরনো সিস্টেমে আর ফিরত যেতে চাই না। আমাদের দেশের সংস্কার প্রয়োজন। এমন সংস্কার করতে হবে, যেন কেউ আর স্বৈরাচারী হতে না পারে।
এ সময় বসুন্ধরা মিডিয়াকে নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ একটি মাফিয়া গ্রুপ। বাংলাদেশের মিডিয়া এ দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে। জনগণকে জিম্মি করেছে। দেশের টাকা লুট করেছে। ব্যাংকগুলোকে লুট করা হয়েছে। সেই বসুন্ধরা গ্রুপের আমরা বিচার চাই। এই বসুন্ধরার এস আলম দুর্নীতিবাজ। লুটেরাজদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এখনো গণঅভ্যুত্থানের পরেও ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, তারা রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া টিকে থাকার সুযোগ পেতো না। অন্তর্বর্তী সরকারকেও এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কীভাবে এসব মিডিয়া অভ্যুত্থান ও জনগণের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে? যে প্রজন্ম গণঅভ্যুত্থান করেছে, যারা পুলিশের বুলেটের সামনে থেকে এসেছে, সেই প্রজন্ম কাউকে ভয় পায় না। ভয়ের সংস্কৃতি যারা ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে, তারা ভুল করছে।
উল্লেখ্য, এর আগে বসুন্ধরা গ্রুপ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাঁর মন্তব্যকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।