রাতের ভোটের দায় নিয়ে জবানবন্দি দিলেন সাবেক সিইস

রাষ্ট্রদ্রোহ এবং প্রভাব খাটিয়ে প্রহসনের নির্বাচন পরিচালনার অভিযোগে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুই দফায় ৮ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি এই জবানবন্দি দেন।
এ সময় তিনি স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তদন্ত কর্মকর্তা তা রেকর্ড করার আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করে গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করে বিএনপি।
মামলা হওয়ার পর ওইদিন রাতেই বিক্ষুব্ধ জনতা উত্তরার বাসা থেকে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে আটক করে হেনস্তা করে। তারা নুরুল হুদার ওপর চড়াও হয়। বাসায় ঢুকে অপদস্থ করে। কেউ কেউ ফেইসবুকে লাইভ করে। পরদিন ২৩ জুন তাকে বিএনপির করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওই তিন নির্বাচনে গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আসামিরা এসব অপরাধ করেছেন।