কিছু গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে এনসিপি নেত্রীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৫, ০৯:১৩ PM

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেছেন, রাজনীতিবিদ হিসেবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে সবাই চায়, তবে অতীতে গণমাধ্যম আমাদের পক্ষে ছিল না। অনেক সময় গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদী আচরণও করেছে। এমনকি অনেক গণমাধ্যম 'জুলাই বিপ্লব'কে শুধু একটি আন্দোলন হিসেবে দেখায়—আবার কেউ কেউ এই বিপ্লবের মর্মবস্তুই ধারণ করে না।

শুক্রবার (২০ জুন) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুই দশকে পদার্পণ উপলক্ষে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন এবং সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।

সভায় এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন বলেন, এখন সবচেয়ে আলোচিত শব্দ হচ্ছে নির্বাচন। আমরা আশা করি, একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু নতুন রাজনৈতিক সরকার আসবে, তারাও যদি গণমাধ্যমকে নিজেদের তোষণযন্ত্র বানিয়ে ফেলে তাহলে প্রকৃতভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব না। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। রাজনীতিবিদদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কিন্তু ফ্যাক্টচেকিং করে সত্য তুলে ধরতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। 

আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি দুই দশকে পদার্পণ করেছে। এ উপলক্ষে সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলের ভূমিকা বিষয়ে উক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা। আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের গুরুত্ব তুলে ধরাই আমাদের প্রচেষ্টা।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী।

আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব শহীদ চৌধুরী এ্যানি, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নিজামুল হক নাঈম, গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।