এসএ গেম নিয়ে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের চিঠি

আগামী বছর ২৩ থেকে ৩১ জানুয়ারি পাকিস্তানে হওয়ার কথা দক্ষিণ এশিয়ান (এসএ) গেমস। তবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গেমসের সময়সূচি ও ডিসিপ্লিন সংখ্যা নির্ধারণের পর থেকে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সম্প্রতি গেমসের কার্যক্রম নিয়ে পাকিস্তান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছে।
বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবিএম শেফাউল কবীর বলেন, 'আমরা পাকিস্তান অলিম্পিক এসোসিয়েশনের কাছে ট্যাকনিক্যাল হ্যান্ডবুক, অ্যাক্রিডিটেশনের বিষয়গুলো জানতে চেয়েছি। যা আমাদের গেমসের প্রস্তুতি ও কার্যক্রম এগিয়ে নিতে প্রয়োজন।' বিওএ কয়েক দিন আগে চিঠি দিলেও এখনো পাকিস্তান থেকে কোনো উত্তর পায়নি।
দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে সাধারণত চার-পাঁচ মাস আগে থেকে খেলোয়াড় নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হয়। সেই হিসেবে মাত্র মাস চারেক সময় বাকি রয়েছে। এখনো খেলোয়াড় অ্যাক্রিডিটেশন তো দূরের কথা, ট্যাকনিক্যাল হ্যান্ডবুকই দিতে পারেনি আয়োজকরা। এতে গেমস যথাসময়ে আয়োজন নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে। আয়োজক দেশ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বার্তা না থাকায় বাংলাদেশ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে অনুশীলন অব্যাহত রাখতে বাধ্য হচ্ছে।
এসএ গেমসে বাংলাদেশ শেফ দ্য মিশনে পরিবর্তন এনেছে। বিওএ মহাপরিচালক এই প্রসঙ্গে বলেন, 'সিরাজউদ্দিন আলমগীরের পরিবর্তে এসএ গেমসে জোবায়েদুর রহমান রানাকে শেফ দ্য মিশনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ বিওএ’র বর্তমান নির্বাহী কমিটির সদস্য সিরাজউদ্দিন মোঃ আলমগীর শেফ দ্য মিশন ছিলেন। তাকে পরিবর্তন করে বিওএ’র সাবেক সদস্য ও সাবেক জাতীয় চ্যাম্পিয়ন শাটলার জোবায়েদুর রহমান রানাকে বাংলাদেশ কন্টিনজেন্টের প্রধান করা হয়েছে। এই বদলের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, 'জনাব সিরাজউদ্দিন আলমগীর এখন কোনো ফেডারেশন, স্থানীয় ক্রীড়া সংস্থায় নেই। তিনি বিওএ সাধারণ পরিষদের সদস্যও নন। সক্রিয় প্রতিনিধিত্বের প্রেক্ষিতে বিওএ সাধারণ পরিষদের সদস্য জনাব জোবায়েদুর রহমান রানা শেফ দ্য মিশন এখন পর্যন্ত।'
৩০ জুলাই বিওএ সাধারণ সভা আয়োজন করে। সেখানে প্রথমে প্রকাশিত কাউন্সিলর তালিকায় ছিলেন না জোবায়েদুর রহমান রানা। পরবর্তীতে ২৭ জুলাই সর্বশেষ প্রকাশিত তালিকায় তিনি বিওএ সভাপতি কর্তৃক কাউন্সিলর মনোনীত হয়েছিলেন। সাবেক জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন জোবায়েদুর রহমান রানা ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য গঠিত সার্চ কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন৷ এই কমিটির সুপারিশ/প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়/জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ফেডারেশন-এসোসিয়েশনগুলোর কমিটি পুর্নগঠন করেছে।