র্যাব সংস্কারে খসড়া প্রস্তুত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সমালোচিত বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এই বাহিনীর সংস্কারে কাজ করছে সরকার। বাহিনীর নিজস্ব আইনের খসড়া প্রস্তুত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। র্যাব ফোর্সেস আইন-২০২৪ এর মাধ্যমে মানবিক ও জনবান্ধব হিসেবে আস্থা অর্জনের লক্ষ্য বাহিনীর। সদস্যদের অপরাধ তদন্তেও থাকবে বিশেষ সেল। পাশাপাশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কাজ করছে র্যাব।
২০০৪ সালে পুলিশের বিশেষ বাহিনী হিসেবে র্যাব গঠন করে তৎকালীন বিএনপি সরকার। গেল ২০ বছরে মাদক ও জঙ্গীবিরোধী অভিযানসহ নানা ভূমিকা থাকলেও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বারবার সমালোচনায় পড়ে এই এলিট ফোর্স।
এক পর্যায়ে র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালে বাহিনীর ছয় জন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটি।
গেল ৫ আগস্টের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে, র্যাবের সংস্কার আনতে আইন করার উদ্যোগ নেয়। এতদিন এপিবিএন অ্যাক্টে পরিচালিত হলেও এবার করা হচ্ছে র্যাব ফোর্সেস আইন ২০২৪। সদস্যদের অপরাধের তদন্ত ও শাস্তি নিশ্চিতে থাকবে অভ্যন্তরীণ সেলও।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘এ আইনে মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টিকে প্রায়োরিটি দেওয়া হচ্ছে। যাতে সবার অধিকারই এখানে সমানভাবে রক্ষিত থাকে। যেভাবে অপারেশন পরিচালনা করলে সবার অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে পারব সেটাকে ফোকাস করেই আইন তৈরি করা হচ্ছে।’
স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিতের পাশাপাশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেও গুরুত্ব দিচ্ছে বাহিনীটি।
লে কর্নেল মুনীম ফেরদৌস আরও বলেন, ‘যখন আমাদের স্যাংশন দেওয়া হয়েছিল, তখনই কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা রয়েছে তারাও কিছু নীতিমালা দিয়েছিল। এসব কিছুকে একত্র করেই এ আইন তৈরি হচ্ছে।’
এদিকে নিজস্ব আইন করার পাশাপাশি ভাবমূর্তি ফেরাতে বাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার তাগিদ দিয়েছেন সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক।