নির্বাচন নিয়ে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা?

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৮:৫৩ PM

কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতাদের বক্তব্যে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে জনমনে শঙ্কা দেখা দিলেও এর বাস্তব প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করতে হলে সরকারকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে এবং ভিন্নমত সম্পর্কিত ইস্যুগুলোর সমাধান আলোচনা টেবিলেই করতে হবে।

গত ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচন বিষয়ক ভাষণ এবং পরদিন নির্বাচন কমিশনকে পাঠানো চিঠির পর থেকেই শুরু হয় নির্বাচনি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক অগ্রযাত্রা। এর ধারাবাহিকতায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটগ্রহণ এবং ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করেন।

এরপরই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্য ট্রেনের ব্রেক চেপে ধরার ইঙ্গিত দেয়। তবে একে দলীয় এজেন্ডা কিংবা প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার কৌশল বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। সরকার কঠোর থাকলে নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো শঙ্কা থাকবে না বলেও মত তাদের। 

ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক ড. আব্দুল আলীম বলেন, আমার মনে হয় না- ঐক্যমত ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কাজেই এর বাহিরে বক্তব্যগুলো রাজনৈতিক।

সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন হলে পুরোনো সমস্যা ফিরবে, প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন অনেকে। তবে এর মধ্যেও তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। বলছেন, এরইমধ্যে সংস্কার ও বিচারের অগ্রগতি লক্ষণীয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে তারা আরপিও সংশোধন করেছে। কাজ এগিয়ে চলছে, সংশয় হচ্ছে বলে আমি করি না। 

নির্বাচনি ট্রেনের যাত্রা বাধাগ্রস্ত করলে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ কঠিন হবে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।