গুম-খুনের সঙ্গে কোনভাবেই জড়াবে না র্যাব: মহাপরিচালক
বিগত সরকারের আমলে বিচার বহির্ভুত ক্রসফায়ারে জড়িত হয়ে ব্যাপক সমালোচতি হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। তবে এখন আর র্যাব গুম-খুনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়াবে না বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান। তিনি বলেছেন, র্যাবে আয়নাঘর বলে কিছু নেই আর বিচারবহির্ভূত কোনো কিছু হওয়ার সুযোগ নেই।
আজ সোমবার (০৭ অক্টোবর) বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ডে র্যাব জড়াবে না। কাউকে এক স্থান থেকে ধরে অন্য স্থানে নিয়ে আটকে রাখা হবে না। র্যাব আইনের মধ্যে থেকে কাজ করবে।
গুম-খুন ফৌজদারি অপরাধ মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাহিনীর কোনো সদস্য এতে জড়ালে বরদাশত করা হবে না। এ অপরাধে জড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে র্যাব। এছাড়া জামিনে যেসব জঙ্গি বের হয়েছে, তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ গুজব ছড়িয়ে নাশকতার অপচেষ্টা করলে তা প্রতিরোধ করা হবে।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্র করে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। এ বিষয়ে শহিদুর রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি ইতোমধ্যে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তাদের যাবতীয় তথ্য দেওয়া হয়েছে। চাহিদামতো আরও তথ্য দেওয়া হবে।’
এ সময় ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সংগঠনের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য দেন। আর সভাপতি কামরুজ্জামান খান র্যাব ও ক্র্যাবের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে নতুন মহাপরিচালককে অবহিত করেন।
র্যাব ডিজিও তার চাকরি জীবনে সাংবাদিকদের কাছ থেকে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজম ও শেখ কালিমুল্লাহ এবং র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।