মব নিয়ে উপাযার্যকে ধমকাল ছাত্রদল

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১২ PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে হঠাৎ উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক চলাকালে সেখানে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

পরে তারা ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের মুখোমুখি হন। এ সময় তারা বর্তমান প্রশাসনকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করলে সভাকক্ষে হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। 

ছাত্রদল অভিযোগ করেছে, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসের আশপাশে বহিরাগত জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী জড়ো করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের নেতাকর্মীরা। উপাচার্য ‘ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে’ জানালেও তারা তা মানতে রাজি হননি।

একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস টেবিল চাপড়ে উপাচার্যকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ বলে আখ্যায়িত করেন। জবাবে উপাচার্য তিনি কোনো দলের নন এবং কখনো রাজনীতি করেননি বলে দাবি করেন।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব উপাচার্যকে বলেন, আজকের পর আনুষ্ঠানিকভাবে আপনাকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ হিসেবে আখ্যা দিলাম। যদি আপনি এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমরা আর আপনাকে কোনো সহযোগিতা করব না।

এদিকে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলেন ছাত্রদল প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। 

ভোট কারচুপির অভিযোগ করে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘অমর একুশে হলে গিয়েছি, সেখানে কারচুপির প্রমাণ পেয়েছি। রোকেয়া হলেও কথা বলেছি। তারা বলেছেন, কারচুপি হয়েছে। এটা কোনোভাবেই আশা করিনি। সকাল থেকে আমাদের পোলিং এজেন্টদেরও কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা প্রদান করা হয়। প্যানেলের নম্বর শিটটাও দিতে গিয়ে প্রত্যেক জায়গায় বাধার মধ্যে পড়েছি। ভোটকেন্দ্রের বাইরেও বাধার সম্মুখীন হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে আমার বিরুদ্ধে একটা বিশাল প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছে, যেখানে মেইনস্ট্রিম মিডিয়াও বিভ্রান্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যদিও তারা সংশোধনী দিয়েছে। রোকেয়া হলের নির্বাচনী কর্মকর্তা আমাদের এক প্রার্থীর ব্যালট নম্বর বিতরণ করার জন্য তার ছাত্রত্ব বাতিল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। অথচ তারা শিবিরের লোকদের তা বিতরণ করতে দিচ্ছেন। মিডিয়ার প্রতিবেদনেও নির্বাচন কারচুপির তথ্য উঠে এসেছে। এসব নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি।’