এবারের ঈদে সারাদেশে বসবে ৪৪০৭টি পশুর হাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২৪, ০২:২৬ PM

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আছে আর মাত্র ১৭-১৮ দিন। এরই মধ্যে তাই শুরু হয়েছে কোরবানির পশু কেনা নিয়ে আলাপ-আলোচনা। এবার পবিত্র ঈদুল আজহায় সারা দেশে ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, পশুবাহী গাড়িতে তাদের গন্তব্যস্থল বা কোন হাটে যাবে সেই হাটের নাম গাড়ির সামনে লিখে রাখতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে ঈদুল আজহার প্রস্তুতি সভা শেষে তিনি এসব কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন ও মহানগর জেলাগুলোসহ সারা দেশে মোট চার হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসার তথ্য আমাদের কাছে আছে। এটা হয়তো বাড়তেও পারে। প্রতিটি পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশের ক্যাম্প বসানো হবে। হাটে ওয়াচ-টাওয়ার, জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন, পশুচিকিৎসক থাকবেন। পশুর হাটে পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরাও থাকবেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঈদুল আজহায় পশুবাহী যানবাহনের আধিক্য দেখা যাবে। সেজন্য তাদের নির্দেশনা দেওয়া হবে, তারা যেন সবসময় রাস্তার বাম পাশের লেন ব্যবহার করে। তারা যেন রাস্তার মধ্যে না আসে বা ডানেও না যায়। এছাড়া রাস্তার ওপর পশুর হাটে তারা কোনো পশু নামাতে পারবে না, রাস্তায় দাঁড়াতে পারবে না। তাদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান আছে, সেখানেই তারা পশু নামাবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পবিত্র ঈদযাত্রায় সড়ক-মহাসড়কে এবং শহর এলাকায় যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ জেলা পুলিশ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করবে। জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে যানজট নিরসনে গতবারও ড্রোন ব্যবহার করেছিলাম। এবারও যানজট নিরসনে ড্রোন ব্যবহার করব। মহাসড়কে সিসি ক্যামেরা বৃদ্ধিসহ যানজট নিরসনে আধুনিক প্রযুক্তি ক্রমান্বয়ে বাড়ানো হচ্ছে।

জনাব আসাদুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে গাড়ির অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণে স্পিডগান ব্যবহার করবে পুলিশ। অতিরিক্ত গতিসম্পন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ঈদুল আজহার আগে তিন দিন এবং পরের তিন দিন পচনশীল দ্রব্য ও যাত্রী পরিবহণ ছাড়া অন্য সব ধরনের পরিবহণ বন্ধ থাকবে। ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মে মাসের বেতন সম্পূর্ণ দিতে হবে। একই সঙ্গে বোনাস ঈদের ছুটির আগে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ'র প্রেসিডেন্টরা সবাই একমত।

তিনি বলেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবে। শিল্প এলাকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অযথা গুজব, উসকানি দিয়ে যারা অসন্তোষ সৃষ্টি করবেন বা প্রয়াস করবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ও শোলাকিয়া মাঠসহ সারা দেশের বড় ও গুরুত্বপূর্ণ ঈদের জামাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল পশু পরিবহণের জন্য বিশেষ ক্যাটল ট্রেন চালু করবে বলেও জানান আসাদুজ্জামান। রাতে কোনো বাল্কহেড, যাত্রীবাহী স্পিডবোট, ছোট লঞ্চ চলাচল করতে পারবে না বলেও জানান তিনি।