৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শেরে বাংলার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
আজ ২৭ এপ্রিল, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মাজারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় সমাধিতে ফুল দিয়ে এ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।
ফুল দেওয়া শেষে কেন্দ্রীয় নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজীসহ অনেকে।
১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর তৎকালীন বাখেরগঞ্জে (বর্তমান বরিশাল) একে ফজলুল হক জন্ম গ্রহণ করেন ৷ তিনি রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের কাছে শের-এ-বাংলা এবং হক সাহেব নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। ছিলেন একজন বড় মাপের আইনজীবী। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। কর্মজীবনে কলকাতার মেয়র (১৯৩৫), অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী (১৯৩৭-১৯৪৩), পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫৪), পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (১৯৫৫) ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর (১৯৫৬-১৯৫৮) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর যুক্তফ্রন্ট গঠনে প্রধান নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম।
১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর তাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদক ‘হেলাল-ই-পাকিস্তান’ খেতাব দেওয়া হয়। অবিভক্ত বাংলায় তিনি কৃষক প্রজা পার্টি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন৷ নিম্ন বর্ণের হিন্দু ও মুসলমান উভয় কৃষকদের স্বার্থের পক্ষে তিনি কথা বলেছেন। মুসলিম লিগের সঙ্গে ফজলুল হকের কৃষক প্রজা পার্টির রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। ১৯৬২ সালের ২৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন এই খ্যাতিমান আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।