আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন সিইসি হাবিবুল
আজ শনিবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গতকাল শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানান। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সিইসির ভাষণ সম্প্রচার করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন। সিইসি ভাষণে জাতিকে সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দেওয়াসহ সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করতে প্রার্থীদের আহ্বান জানাবেন।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ওইদিন আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তার ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ। ইতিমধ্যে কমনওয়েলথ ও ওয়াইসির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তারা প্রস্তুতির সব বিষয়ে জানতে চাইলে আমরা সব বিষয়ে তাদের জানিয়েছি।
অশোক কুমার বলেন, শনিবার থেকে নির্বাচনী মালামাল সব কেন্দ্রে যাবে। শনিবার ৪ হাজার কেন্দ্রে ব্যালট পেপার চলে যাবে, আর বাকি কেন্দ্রে যাবে নির্বাচনের দিন সকালে।
আগামীকাল৭ জানুয়ারি সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে এই নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। এ অবস্থায় ভোটের আগের দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরদিন সকাল পর্যন্ত হরতাল কর্মসূচি পালন করবে তারা।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ৮টায় প্রচারের সময় শেষ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কেউ আইন না মানলে ছয় মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে। কমিশন চাইলে কারও প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর সিদ্ধান্তও নিতে পারে।
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। হাইকোর্ট থেকে তিনজন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় দলটির প্রার্থী ২৬৬ জন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপির ১৩৫, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১২২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৯৬, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ৫৬ জনসহ নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ২৭টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী সংখ্যা ১ হাজার ৫৩৪। স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। সব মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ৯৭০ জন। এর মধ্যে ৯০ জন নারী ও ৭৯ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপিসহ ১৬টি দল এ নির্বাচন বয়কট করেছে। নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে দলগুলো।
নির্বাচনে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, তৃণমূল বিএনপি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) প্রার্থী দিয়েছে।