জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে রংতুলিতে সাজানো হয়েছে স্মৃতিসৌধ
চলছে মহান বিজয় দিবসের মাস। আর মাত্র তিন দিন পরেই আসছে কাঙ্ক্ষিত সেই দিন, যেদিন ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তদান সফল হয়। ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান লাখো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি রংতুলির আচড়ে ও বাহারি রংয়ের ফুল দিয়ে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পুরো সৌধ এলাকা।
এ জন্য গত ৪ ডিসেম্বর থেকে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব ধরনের দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বসাধারণের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান। পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসা দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার পাশাপাশি স্মৃতিসৌধ এলাকায় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আর ১৬ ডিসেম্বর ভোর ৪টা থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসা মানুষদের চলাচলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিজয় দিবসের দিন যানজট এড়াতে উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বিভিন্ন ধরনের পরিবহনকে চন্দ্রা থেকে গাজীপুর হয়ে চলাচলের অনুরোধ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের ইনচার্জ ও গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে প্রায় শতাধিক শ্রমিক স্মৃতিসৌধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করছে। এর পাশাপাশি আমরা নিরাপত্তার দিকেও খেয়াল রাখছি।