বিমানভাড়া কমানোর আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
জার্নাল ডেস্ক জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ১০:৫০ PM

বিমান চলাচলের জন্য ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম কমায় যাত্রীদের ভাড়া কমাতে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এর চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। তাঁর এ আহ্বানে সম্মত হয়েছেন এয়ারলাইনসের প্রতিনিধিরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকাল ৪টায় বেবিচক সদরদপ্তরে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে তিনি বলেন, ‘জেট ফুয়েলের দাম কমার ফলে যাত্রীসাধারণ যেন ভাড়ার ক্ষেত্রে এর সুফল পায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে এয়ারলাইনসগুলোর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। সভায় উপস্থিত সকল এয়ারলাইনসের প্রতিনিধিরা সম্মত হন। খুব শিগগিরই বিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানান তারা।

এছাড়া সভায় আগামী ২১ মে থেকে নভোএয়ার পুনরায় তাদের ফ্লাইট অপারেশন চালু করার জন্য বেবিচক চেয়ারম্যান এবং উপস্থিত অন্যান্য এয়ারলাইনস প্রতিনিধিরা নভোএয়ারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

সভায় বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বহুল প্রতীক্ষিত তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। টার্মিনালের সকল নির্মাণকাজ ও সেবামূলক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে পরিচালিত হবে, যাতে দেশি-বিদেশি যাত্রীরা সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন ও আধুনিক সেবা পেতে পারেন। 

বৈঠকে বেবিচক চেয়ারম্যান আরও জানান, সরকার ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সমন্বিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তরের কার্যক্রম ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। 

তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক মান অনুসারে নিরাপত্তা, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ২০২৫ সালের জুন মাসের শেষভাগ বা জুলাই মাসের প্রথম দিক থেকেই কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

তিনি বলেন, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করতে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অধিক সংখ্যক কার্গো অপারেশন চালু করা জরুরি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনস ও কার্গো অপারেটরদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারলাইনস প্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা এসব বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে নতুন আন্তর্জাতিক রুট চালু করতে আগ্রহী হন এবং নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনায় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন যে, এ উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, লজিস্টিক সহায়তা এবং প্রশাসনিক সুবিধা নিশ্চিত করতে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া এয়ারলাইনস প্রতিনিধিগণ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। তিনি এ সময় তাদের আশ্বস্ত করেন, এসব সমস্যা নিরসনে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, ‘বিমান চলাচলকে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও কার্যকর করতে এয়ারলাইনসগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’