টানা ১৪ দিন চিনি না খেলে শরীরে যেসব উপকার মেলে
আমরা মোটামুটি অনেকেই জানি চিনি শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই চিনিযুক্ত খাবার খেতে পছন্দ করি। সারা দিনে আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি, সেসব খাবারে কোনো না কোনোভাবে চিনি থাকে। হয়ত কোনো খাবারে চিনি বেশি থাকে, আর কোনটাতে কম।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণের মতো চিনিও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি খেলে তা স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই দৈনন্দিন খাবারে চিনির পরিমাণ বন্ধ করতে পারলে, সেটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার হবে।
পুষ্টিবিদদের গবেষণায় দেখা গেছে, একটানা ১৪ দিন চিনি না খেয়ে থাকলে স্বাস্থ্যের উপকার হয়। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে ভারতের পুষ্টিবিদ ভূমিকা পাটেল বলেন, ‘মাত্র ১৪ দিন চিনি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারলেই সুস্বাস্থ্যের জন্য দারুণ একটা বিষয় হবে।’ আসুন জেনে নিন, সেসব উপকারিতার কথা:
১-৩য় দিন
কোনো নিয়মকানুন শুরু করলে তা প্রথম দিকে কঠিন বিষয় মনে হবে। চিনির ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি কাজ করবে। তাই শুরুর প্রথম তিনদিন নিয়ম মেনে চলা কষ্টকর হবে। তবে আস্তে আস্তে তা অভ্যাসে পরিণত হবে। এ সময় শারীরিক কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন– মাথাব্যথা, পেটব্যথা কিংবা পেটে জ্বালাপোড়া দেখা দিতে পারে। এতে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই সময়টাতে আপনার শরীরে চিনির ক্ষতিকর উপাদানের ডিটক্সিং চলবে।
সকালে লেবুপানি পানে যে উপকার পাবেনসকালে লেবুপানি পানে যে উপকার পাবেন
৪-৭ম দিন
এ সময় আপনি আস্তে আস্তে শারীরিকভাবে শক্তি ফিরে পাবেন আর মানসিকভাবে স্বস্তি অনুভব করবেন। এই সময় আপনার কাজের মনোযোগ বাড়বে।
৮-১০ম দিন
এই সময় আপনার শরীরের পাচনতন্ত্র কাজ করতে শুরু করবে। এতে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য ঠিক হতে শুরু করবে। ফলে পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা আস্তে আস্তে কেটে যাবে।
১১-১৪তম দিন
চিনি বাদ দেওয়ার নিয়ম শুরুর দ্বিতীয় সপ্তাহের পর আপনি মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি আগ্রহ কমে যাবে। এতে কমে যাবে আপনার ওজন। আর এই সময় আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকলে তা কেটে যাবে। আর ভালো ঘুম হবে।
খাওয়ার সময় বা পর পরই কি পানি পান করা উচিত?খাওয়ার সময় বা পর পরই কি পানি পান করা উচিত?
এ ছাড়া ১৪ দিন চিনিমুক্ত থাকলে হৃদরোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। শরীরে থাকবে না উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি এবং কমে যাবে হৃদরোগের সমস্যা। এ ছাড়া চিনি খাওয়া বন্ধ করে দিলে হঠাৎ করেই মুড সুইং হবে না। এতে মন মেজাজ থাকবে ভালো।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকবে। শরীরের শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বিভিন্ন রোগের আশঙ্কা থাকে। তাই সুস্থ থাকতে খাদ্যতালিকা থেকে চিনিযুক্ত খাবারকে না বলার চেষ্টা করুন।