যে কারণে মেয়েদের জিন্সের পকেট ছোট হয়
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিনিয়ত ফ্যাশনেরও পরিবর্তন হয়। কালের বিবর্তনে পোশাকের কাটছাঁট ও নকশায় এসেছে অনেক পরিবর্তন। যদিও এই পরিবর্তন মেয়েদের পোশাকের বেলায় বেশি দেখা যায়। তবে ছেলে ও মেয়ের জিন্সের প্যান্টের পকেটে যে পার্থক্য, তা আজও একই রকম আছে।
খেয়াল করলে দেখবেন, মেয়েদের জিন্সের পকেট, ছেলেদের জিন্সের পকেটের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। মেয়েদের জিন্সে পকেট আকারে তুলনামূলক ছোট। তাই ছেলেদের জিন্সে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ওয়ালেট, চাবি সবকিছু এঁটে যায়। কিন্তু মেয়েদের জিন্সে ফোনটা পর্যন্ত ঠিকমতো রাখা যায় না! অনেকটা বাধ্য হয়েই মেয়েদের আলাদা করে হ্যান্ডব্যাগ নিয়ে ঘুরতে হয়। এ জন্য জিন্সের পকেটের সাথে অবধারিতভাবে লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টিও উঠে আসে।
আধুনিক নকশায় মেয়েদের পোশাকে এখন ছোটবড় নানা আকৃতির পকেট জুড়ে দেয়া হলেও জিন্সের পকেটের আকারে তেমন একটা বদল আসেনি। নিউইয়র্কভিত্তিক ফ্যাশন ডিজাইনার এমিলি কেলার জানিয়েছেন, কেন মেয়েদের এই জিন্সের পকেট ছোট হয়ে থাকে। নিটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে দশ বছর কাজ করেছেন এমিলি। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট কোরাতে এমিলি তিনটি সম্ভাব্য কারণের কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রথম কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন অর্থ সঞ্চয় একটি উদ্দেশ্য হতে পারে। পকেট ছোট থাকলে কাপড়ের ব্র্যান্ডগুলো প্রচুর অর্থ সাশ্রয় করতে পারে। তাই তারা ইচ্ছে করে মেয়েদের জিন্সে পকেট দেয় না, বা দিলেও ছোট রাখে।
দ্বিতীয় কারণটি ফ্যাশন ট্রেন্ডের সাথে সম্পর্কিত। চাপা জিন্স ফ্যাশনের তুঙ্গে; ফলে এর সাথে যদি বড় পকেট যোগ করা হয়, তা জিন্সের ফ্যাব্রিকের উপর অতিরিক্ত ‘লেয়ার’ যোগ করবে। এতে স্লিম-ফিট ফ্যাশনের ব্যাঘাত ঘটবে।
তৃতীয় এবং শেষ কারণ হিসেবে এমিলি বলেন, যদি মহিলাদের জিন্সে পকেট ঢোকানো হয়, তাহলে জিন্স প্যান্টের ‘ভলিউম’ প্রসারিত হবে। তবে এ সবই অজুহাত; প্রাথমিক কারণ হিসেবে খরচ কমানোর কথাই বলেছেন এমিলি।
আসল কথা হলো, মেয়েদের পোশাকে পকেট না থাকা বা পকেট ছোট থাকার অর্থবহ কোনো কারণ নেই। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে যে যেই ধরণের পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাকে তেমনটিই পরতে দেওয়া উচিত।
সূত্র: নিউজ এইটিন