চকলেটপ্রেমিদের দিন আজ
চকলেট পছন্দ করেন না, এমন মানুষ হয়তো খুব কমই আছে। ছোট থেকে বড় যেকোনো বয়সের মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকতে পারে চকলেট। চকলেট মূলত মায়া ও অজটেক সভ্যতার অবদান। মায়া ও অজটেক সভ্যতার সময়কালে চকলেট পানীয় হিসেবে পান করা হতো। যা কোকোর বীজ থেকে তৈরি করা হতো।
আজ ৭ জুলাই বিশ্ব চকলেট দিবস। ধারণা করা হয়, ইউরোপে ১৫৫০ সাল থেকে এ দিনে চকলেট দিবস পালিত হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয় চকলেট দিবস পালিত হয় ২৮ অক্টোবর। ঘানাতে কোকো সেলিব্রেটস চকলেট দিবস পালিত হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি। তেতোমিষ্টি চকলেট দিবস ১০ জানুয়ারি, মিল্ক চকলেট দিবস ২৮ জুলাই, সাদা চকলেট দিবস ২২ সেপ্টেম্বর এবং চকলেট কভারিং দিবস ১৬ ডিসেম্বর।
পৃথিবীর অনেক দেশই চকলেটের জন্য বিখ্যাত। এরমধ্যে বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত।
চকলেট: চকলেট (chocolate) শব্দটি এসেছে স্প্যানিশ ভাষা থেকে। ধারণা করা হয়, নাহুয়াতি ভাষা, অর্থাৎ অ্যাজটেকদের ভাষার শব্দ chocolatal থেকে এসেছে chocolate শব্দটি। এই chocolatal এসেছে xocolatl থেকে। xococ এর অর্থ হলো তেতো বা টক এবং atl এর অর্থ হলো তরল বা পানীয়।
জানা গেছে, প্রায় ৪ হাজার বছর আগে মেসো আমেরিকায় চকলেট খাওয়ার রীতি ছিল উপজাতিদের মধ্যে। তবে বর্তমানের মতো শক্ত চকলট নয়। তখন চকলেট খাওয়া হতো তরল অবস্থায়। কাপ বা কাপের মতো দেখতে পাত্রে করে তা পরিবেশন করা হতো।
প্রাচীন সভ্যতার বিখ্যাত পানীয়
ঐতিহাসিকরা বলেন, অলমেক ও মায়া সভ্যতার মধ্যে তরল চকলেট খাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। তবে তারা যে ঘন ঘন এই পানীয় খেতেন তা নয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই পানীয় পরিবেশনের রীতি ছিল।
কোকা গাছ থেকে প্রাপ্ত এই পানীয় তখন থেকেই জনপ্রিয়। তবে এই পানীয় প্রেম প্রকাশের চিহ্ন হলো কবে থেকে? তা খুব নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউই।
চকলেট খেতে যেমন সুস্বাদু, দেখতে যেমন লোভনীয় তেমনি শরীরে নানা উপকারে কাজে আসে। প্রাকৃতিক চকলেট অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের গুণে সমৃদ্ধ। এটি মন মেজাজ ভালো রাখতে দারুণ কাজে দেয়। এছাড়া চকলেটের মধ্যে ফ্ল্যাভনয়েডস রয়েছে। এই বিশেষ উপাদান হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও কাজ করে।