ওজন বাড়াতে চান?
যে দশ ফল খেলে ওজন বাড়বে
শরীর ভালো রাখতে রোজ ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ওজন কমাতেও শর্করা ও স্নেহজাতীয় খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ফলমূল খেতে উৎসাহ দেওয়া হয়। নাশতা হিসেবে পুরি-শিঙারা না খেয়ে ফল খাওয়া নিঃসন্দেহে ভালো অভ্যাস। তবে সব ফলই কিন্তু ইচ্ছেমতো খাওয়া যাবে না। তাতেও থাকে ওজন বাড়ার ঝুঁকি।
মিষ্টি স্বাদের ফলে থাকে প্রচুর ফ্রুকটোজ। এই ফ্রুকটোজ থেকে তৈরি হয় গ্লুকোজ। অতিরিক্ত গ্লুকোজ মেদ হিসেবে জমা হয় শরীরে। ফলে বাড়ে ওজন। তাই মিষ্টি স্বাদের ফল খেতে হবে পরিমাণমতো। এমনটাই বলছিলেন রাজধানীর আজিমপুরে অবস্থিত গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান।
এবার জেনে নেওয়া যাক, কোন ফল খেলে ওজন বাড়ে—
কলা
ইচ্ছেমতো পাকা কলা খেলে ওজন বাড়বে। সারা দিনে ছোট একটি কলা খেতে পারেন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে চম্পা কলা খাওয়া ভালো। সাগর কলা এড়িয়ে চলুন।
তরমুজ
তরমুজ খেতে চাইলে পরিমাণটা দেড় শ-দুই শ গ্রামের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখুন, যদিও এতে পর্যাপ্ত আঁশ এবং পানি আছে।
কাঁঠাল
কাঁঠালও কিন্তু বেশ মিষ্টি ফল। তাই এক দিনে চার-পাঁচ কোয়ার বেশি কাঁঠাল খাবেন না।
মিষ্টি লিচু
মিষ্টি লিচু খেলেও ওজন বাড়ে। তাই সারা দিনে চার-পাঁচটার বেশি লিচু খাওয়া যাবে না। তবে টক লিচু হলে দশটা পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
লাল আপেল
লাল আপেল খেতে পারেন সর্বোচ্চ অর্ধেকটা। লাল আপেলের চাইতে সবুজ আপেল খাওয়া ভালো। খেতে একটু টক হলেও এই আপেল একটু বেশি পরিমাণে খাবার সুযোগ আছে।
মিষ্টি, পাকা পেঁপে
অতিরিক্ত পেকে যাওয়া পেঁপে এড়িয়ে চলুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পানসে স্বাদের পেঁপে বেছে নিন।
আতা
আতা দারুণ মিষ্টি ফল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আতা না খাওয়াই ভালো। খেতে চাইলেও ছোট আতা বেছে নিন। এক দিনে সেটিও আধখানার বেশি খাবেন না। বড় আতা খেলে ছয় ভাগের এক ভাগ খেতে পারেন।
ড্রাগন ফল
দেশে এখন মিষ্টি ড্রাগন ফলের চাষ হয়। এ ফলেও ওজন বাড়ে। খেতে চাইলে দিনে সর্বোচ্চ আধখানা।
ডাবের শাঁস এবং নারকেল
ডাবের পানি খেলে ক্ষতি নেই। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে ডাবের শাঁসটা খাবেন না। নারকেল এবং নারকেলের তৈরি খাবারও এড়িয়ে চলুন।
খেয়াল রাখুন
ফলের রসে লবণ-চিনি মেশাবেন না। সারা দিনে ১০০ গ্রামের বেশি মিষ্টি ফল খাওয়া উচিত নয়। একাধিক মিষ্টি ফল ১০০ গ্রাম করে খেলেও কিন্তু আপনি বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ করছেন। সব ধরনের মিলিয়েই পরিমাণটা ১০০ গ্রামের ভেতর রাখতে চেষ্টা করুন।