ওজন ঠিক রাখতে তরমুজের জুস উপকারি?
গরমে স্বস্তি দিতে তরমুজের জুড়ি নেই। অনেকেই এই গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রায় প্রতিদিনই তরমুজ খাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রতিদিন তরমুজ খেলে ওজন বাড়তে পারে। আসলেই কি তাই? এ ব্যাপারে নানা তথ্য দিয়েছেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ড. অরিত্র খাঁ।
তরমুজ ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এইসব উপাদান সহজেই শরীরের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে পারে। তরমুজে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যারোটিনয়েডস, লাইকোপেন শরীরকে একাধিক জটিল অসুখ থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে এই ফলে মজুত ফ্লুইড শরীরে পানির ঘাটতিও মিটিয়ে দেয়। এমনকী এই ফল খেলে হৃৎপিণ্ড, চোখসহ দেহের একাধিক অঙ্গের উপকার হয়।
তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে?
এই প্রশ্নের উত্তরে পুষ্টিবিদ অরিত্র খাঁ জানান, তরমুজ একটি লো ক্যালোরি ফুড। তাই এই ফল খেলে ওজন বাড়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না। বরং এই ফলের গুণে মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব।
তরমুজের জুস নয়
অনেকেই তরমুজের রস করে খান। এমনকী এই রসের মধ্যে আলাদা করে চিনি-মিষ্টি মিশিয়েও পান করেন অনেকে। আর এসব কারণেই এই পানীয়ের ক্যালোরি ভ্যালু বেড়ে যায়। পুষ্টিবিদ ড: অরিত্র খাঁর মতে, যে কোনও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত পানীয় খেলে ওজন বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তাই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এভাবে তরমুজের জুস বানিয়ে খাওয়া ঠিক নয়।
ড. অরিত্র খাঁ জানান, অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিসে তরমুজ খেতে নেই। এমনকী এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি থাকায় কিছু বিশেষজ্ঞও ডায়াবেটি রোগীদের তরমুজ খেতে বারণ করেন। কিন্তু, ডায়াবেটিস রোগীরা চাইলে এই ফল খেতে পারেন। কারণ এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি হলেও, গ্লাইসেমিক লোড কিন্তু ১০-এর নীচে। আর সেই কারণে এই ফল খেলে সুগার খুব একটা বাড়ে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো তরমুজ খেতে পারেন।
দিনে কতটা খাবেন?
প্রতিদিন ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া যায়। তার মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম তরমুজ খেলে তেমন একটা সমস্যা হবে না। তবে কিডনির অসুখ বা কোনও কারণে ফ্লুইড রেস্ট্রিকশন থাকলে এই ফল খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।