ইফতারে দই-চিড়া শীতল করবে শরীর
চলছে রমজান মাস। সারাদিন রোজা রাখার পর শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। প্রয়োজন একটু সতেজতা। শরীরে সেই প্রাণচঞ্চলতা এনে দিতে পারে দই-চিড়া। কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস চিড়ায় রয়েছে প্রোটিন, খাদ্য আঁশ, জিংক, আয়রনের মতো জরুরি উপাদান। এ ছাড়া এতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সারা দিন রোজা রাখার পর আমাদের শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করতে পারে এই চিড়া। সাদা চিড়ার পরিবর্তে লাল চিড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন।
আমরা জানি, দই হল প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক। প্রোটিনের উৎস এই দইয়ে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস, এই ব্যাকটেরিয়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংকের মতো উপকারী উপাদান। স্ট্রেস হরমোন ‘কর্টিসল’ উৎপাদন কমানোর মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করে, অকালে মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। বিভিন্ন ছত্রাকজনিত সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি রক্তচাপ ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে। মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে টক দই বা বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত প্রোবায়োটিক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
ইফতারে কলা খেতে পারেন। দই-চিড়ার সঙ্গেও কলা রাখতে পারেন। পটাশিয়াম, খাদ্য আঁশ, ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন-সি, খাদ্যশক্তি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়ামসহ অন্যান্য খনিজ উপাদানে ভরপুর একটি ফল কলা। যাঁদের উচ্চর ক্তচাপ রয়েছে, তাঁদের জন্য কলা আদর্শ ফল। কেননা কলায় রয়েছে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী উপাদান। হজমশক্তি বৃদ্ধি, ওজন কমানো, সুন্দর ত্বক, মানসিক প্রশান্তি, শরীর শীতল রাখাসহ আরও নানা উপকারী দিক রয়েছে এই ফলে। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে কলার জুড়ি নেই।
এই তিনটি খাবার একত্রে এনার্জি বুস্টার হিসেবে কাজ করে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ এই খাবার প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান আমাদের সরবরাহ করে, শরীরকে রাখে শীতল। সে জন্য রমজান মাসে একটি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে এই দই-চিড়া-কলা।